আশিষ চৌধুরী, বিশেষ প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডে সরকারি সফরে যেখানেই গিয়েছেন সেখানেই দেখেছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসকদের মান নিয়ে সবার ইতিবাচক ধারণা আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভিন্ন ইভেন্টে বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রতিনিধিগণের কাছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাপক প্রশংসিত ও সমাদৃত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে উঠা কমিউনিটি ক্লিনিক এখন পুরো বিশ্বে স্বাস্থ্যখাতের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসকের মান ও শিক্ষার মান বৃদ্ধি করে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতকে আরও উন্নত করে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে যাতে পুরো বিশ্বে এটা একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে। মন্ত্রী বুধবার (০৫ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ডা. মিলন অডিটোরিয়ামে ১ম বর্ষ এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব একথা বলেন। ডা. সামন্ত লাল সেন উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য ও সাধনার ব্যাপার। এজন্য তোমাদের অভিনন্দন। ডাক্তারদের অ্যাপ্রনের যে মর্যাদা সেটা সকলের ধরে রাখতে হবে। এজন্য নিয়মানুবর্তিতা মেনে যথাযথভাবে পড়াশোনা করে একজন যোগ্য চিকিৎসক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া, ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থায় যে অবারিত সুযোগ সুবিধা এসেছে তা শিক্ষার্থীদের কাজে লাগিয়ে নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলার আহবান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের বিদেশে পড়াশোনার সুবিধার্থে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল তৈরি করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীরা যাতে সহজেই দেশের বাইরে পড়াশোনা করে নিজেদের দক্ষ ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে পারে সেজন্য নানামুখী প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ আজিজুর রহমান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শফিকুল আলম চৌধুরী, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা সহ প্রমুখ।