নিজের দোষে, নিজের ভুলে আপনার জীবনে ক্ষতির সংখ্যা কম। বড় বড় ক্ষত আপনদের শাখা-প্রশাখা থেকে এসেছে। চোখের পানি, মন খারাপ-এর অনেক কিছুর জন্যই সরাসরি আপনি দায়ী নন অথচ ভুগতে হচ্ছে। যেহেতু আপনার সুখের বেশিরভাগ অপরের সঙ্গ থেকে আসে কাজেই মন ভঙ্গের যাতনাও হাসিমুখে সামলে নিতে হবে। দুঃখিত বলার সাথে সাথে কত সমস্যা যে মিটে গেছে তা আঁতাত করা সত্ত্বাগুলি জানে!
যাদের সাথে আপনার কথা হয়, যার সাথে আপনার জীবন চলা কোথাও কোথাও তার যুক্তি আপনার চিন্তার চেয়ে ভোঁতা হলেও কখনো কখনো মেনে নিতে হয়! জীবনের প্রতি অভিযোগ যত কমবে, অধিকারহীন অভিমান যত ভাঙবে, অপ্রাপ্তির ব্যথা যত সহজে ভুলবেন তত ভালো থাকতে পারবেন। কখনোই কারো সাথে তুলনা করে ভালো থাকতে যাবেন না! তবে সে বসে পড়লে আপনাকে শুয়ে পড়তে হবে! অনুযোগ কমিয়ে দিন, প্রত্যাশা হারিয়ে যেতে দিন-তবেই আপনার সুদিন আসবে! কামনা বাড়লে জীবন থেকে হাসি কমে যাবে!
আমরা যা কামনা করি, যে পূর্ণতা আশা করি তার অনেকটাই অবাস্তব-কল্পনা। জীবন সিনেমা-নাটকের মত সিনেমাটিক-নাটকীয় ব্যাপার-স্যাপার নয়। তবুও উপভোগের উপলক্ষের অন্ত নাই। প্রত্যেকটা ক্ষণ উদযাপন করা যায়। সেজন্য ইচ্ছা থাকতে হয়! স্মৃতি জমিয়ে তবেই তো মানুষ বাঁচতে পারে! যৌবনে যা বিনিয়োগ করে বার্ধক্যে তা লাভসহ ফেরত আসবে। এখানে যদি অবহেলা থাকে, জিম্মি করার মানসিকতা থাকে, আচরণে আধিপত্য আসে তার শোধ নিঃসঙ্গতার কালে কড়ায় গণ্ডায় তুলবে।
মানুষকে ঠকানো সহজ! বঞ্চিত করা আরো সহজ। তবে প্রকৃতির প্রতিশোধ থেকে কেউ বাদ যায় না! যারা ব্যথা দেয়, কথা শোনায়, প্রভুত্ব ফলায় আচরণে তারা অন্যকে অধিকার বঞ্চিত করে বটে তবে মহা ধুরন্ধরকেও কোথাও না কোথাও আটকাতে হয়। কারো হিসাব বেহিসাব যাবে না। অতীতের পাপগুলো পরকালে মাফ হবে কি-না সে সিদ্ধান্তের আগেই তাকে পদে পদে লজ্জিত হতে হয়! যে পাপে উত্থান সে পাপেই পতনের সুতো গাঁথা থাকে। একদিন না একদিন টান আসবে! নিজের পাতা ফাঁদেই আটকাতে হবে।
আবার দুঃখ আসবে, আপনাকে হাসানোর জন্য। আবার সূর্যাস্ত হবে নতুন একটা দিনের জন্য। কেবল ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং সুযোগগুলি কাজে লাগিয়ে ওঠে দাঁড়াতে হবে। চূড়ান্ত হার বলে কিছু নাই। প্রত্যেক পরাজয় জয়ের দীক্ষা নিয়ে সামনে দাঁড়ায়। শুধু মানুষ চিনুন; পরের আগে নিজেকে। অল্প একটু-আধটু সুখের জন্য একটা জীবন লগ্নি করুন। হোঁচট খেলেও সে অভিজ্ঞতা দেবে। আপন-পরের ভেদ শেখাবে। একলা চলার মুরোদ হবে। বিনীত থাকুন। প্রকৃতি আপনাকে ঠকাবে না!
স্বার্থপরতা ত্যাগ করে ঠকলেও তৃপ্তি। মানসিক প্রশান্তির মত সুখ আর কোথাও নাই। ভোগের রোগে না ধরলে আপনায় বৃদ্ধ করবে কে? কুচিন্তা চেপে না ধরলে আপনায় দমিয়ে রাখবে কে? যদি মানসিকতায় পবিত্র থাকেন, বিশ্বাসে অটল থাকেন, পরের অধিকার আদায়ে দৃঢ় থাকেন, সত্য ও সততার পথে অবিচল থাকেন তবে আপনার পথচলা ধীর গতিতে হতে পারে কিন্তু কোথাও আটকে যাবেন না। সততার আলাদা শক্তি আছে। অসৎ যতই ক্ষমতাধর হোক সে সততার চোখে চোখ রেখে তাকাতে পারে না। ভীত হয়ে হেরে যায়। চোরের মনে পুলিশ পুলিশ করলেও সে আসলে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়ানোর যোগ্যতা রাখে না!
রাজু আহমেদ। প্রাবন্ধিক।
[email protected]
প্রধান বার্তা সম্পাদক ও চেয়ারম্যান: মো. আতিকুর রহমান
ভাইস-চেয়ারম্যান ও ডিরেক্টর: তানভীর আমের হোসেন (নুমান)
প্রধান সম্পাদক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক: মো. রফিকুল ইসলাম
রিপোর্টিং ও প্রধান কার্যালয়: নাহার ম্যানশন (সি-৯), ১৫০ মতিঝিল সি/এ, ঢাকা – ১০০০। বাংলাদেশ।
ফোন: +88 09611-378696 , ইমেইল: [email protected]
© ২০২৪ ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত