ক্ষমতা ও শক্তিতে যে অন্যায়ের প্রকাশ্য বিরোধিতা করার সাধ্য না থাকে সেখানে ঘৃণা পোষা জরুরি! ন্যায়-অন্যায়ের বোধ যদি গুলিয়ে যায় তবে মানুষ হওয়ার দৌড়ে কুলিয়ে ওঠা মুশকিল! প্রকাশ্য প্রতিবাদ না হোক অন্তত তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে পরিস্থিতিকে বাসী বানাতেই হবে! সময়মত চুপ থাকা, অন্যায়ে পালে হাওয়া না দেওয়া, অবৈধতার খেয়ায় না চড়া এই যুগের বিপ্লব। অসহযোগিতা করার সাধ্য না থাকলেও স্বাভাবিক গতিকে প্রলম্বিত করার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কিছুটা হলেও জেহাদ!
নীতি-হীনতার প্রতি ভালোবাসা পোষণ থেকে বিরত থাকতে হবে! যেটা ন্যায় বিরুদ্ধ সেটাকে অন্ধকার হিসেবে বিশ্বাস করতে হবে। আমি ফিরে থাকতে পারি না কিংবা ফিরি না বলে জোচ্চুরিকে যারা বৈধতা দিতে চায় তাদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকা জরুরি! আত্মতৃপ্তিতে বাঁচার জন্য, প্রাণ খুলে হাসার জন্য মন্দের সংস্রব থেকে ব্যক্তির নিজেকে রক্ষা করা জরুরি! অবৈধ উপায়ের অর্জন, নীতি-হীনতার ক্ষমতা, অন্যায়ভাবে অর্জিত সম্পদ মালিকের ভোগ বাড়াতে পারে কিন্তু মানসিক সুখ কমিয়ে দেয়! কখনো কখনো অনুশোচনার মুখোমুখি দাঁড় করায়! আত্ম-কৈফিয়তের বোধ জাগ্রত করে!
চারদিকে যা কিছু ঘটছে, যা কিছু রটছে তার অনেককিছুই মানুষের জন্য শুভ ও সুখকর নয়। তবুও মানুষের পৃথিবীতে বসবাসের জন্যই অনেককিছু মুখ বুঝে সহ্য করতে হয়। সেখানে যদি অন্তরের ঘৃণা না থাকে, অনুশোচনা বোধ না জাগে তবে মানুষের তালিকায় অস্তিত্বের কতটুকু আছে তা তলিয়ে দেখতে হবে। অবৈধতাকে ঘৃণা করার মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেললে মনুষ্যত্বের মিছিলে আর জায়গা হবে না। প্রায়শ্চিত্তের অনলে জীবন দহনের দাবানল হয়ে যাবে।
নিত্যকার জীবনযাপনে যারা অন্যায়কে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করেছে তাদের কথা ও কাজে স্ব-বিরোধিতা প্রবল। তাদের মুখে নৈতিকতার মুখোশ কিন্তু কর্মকাণ্ডে সীমাহীন ধূর্ততা। অস্বচ্ছতা তাদের পদে পদে। পয়সার জন্য বিবেক কোরবান করতেও একবার ভাবে না। পয়সাই যাদের মুখ্য পরিণতি তারা এহেন হীন কাজ নাই যা করতে দ্বিধা করে! ঘর-পরের সব কিছুই তাদের কাছে ভোগ্য। স্বার্থ ছাড়া পদক্ষেপ না ফেলা মানুষগুলো বন্ধু হিসেবেও ভয়ানক। এদের সঙ্গ নিলে সমৃদ্ধ জীবনও দুর্গন্ধে জড়িয়ে যাবে। যে মানুষ ভালো মানুষ তাকে কুর্নিশ করা যায়। বিনীত চিত্তে সম্মান দেখানো যায়। কিন্তু যার অঙ্গ ভরা মন্দ থাকে, সেসব মানুষের ছায়া থেকেও নিজেকে নিরাপদে রাখা আবশ্যক।
অপরের ক্ষতি করেই যার গতি নির্ধারিত হয় তার জন্য ঘৃণার পাহাড় জমুক। কুটিল হাসিতে সে বুঝুক, সবাই তার শিষ্য নয়! তাচ্ছিল্যের চূড়ান্ত ফল তার জন্য বহাল রাখলে প্রশ্বাসে প্রশ্বাসে পুণ্য হতে পারে! খারাপের পার্টনার হলে, মন্দের সিঁড়ি হলে এ জীবন পরিনতিহীন যাবে না। যাকে, যেখানে, যতোটুকু ঠকানো সেটুকুর প্রতিশোধ ব্যাকুল হয়ে ফেরত আসবে। অনৈতিক পয়সা, দু’দণ্ডের ক্ষমতার অপব্যবহার, নীতি-হীনভাবে সুযোগ গ্রহণ-এসব শিক্ষিত মানুষের দ্বারাই বেশি ঘটে। ওরা মানুষ নয়; পশু! পশু! শিশুদের অপরাধ ক্ষমা হতে পারে কিন্তু ঘুষখোর-দুর্নীতিবাজ, কিংবা ক্ষমতার খেয়ানত-কারী যারা অন্যায় জেনেও অপরাধ করে তারা ক্ষমাহীন যাবে না। অবৈধের দায় শোধে ন্যায়নীতি প্রতিশোধ নেবেই!
রাজু আহমেদ।
কলাম লেখক।
[email protected]
প্রধান বার্তা সম্পাদক ও চেয়ারম্যান: মো. আতিকুর রহমান
ভাইস-চেয়ারম্যান ও ডিরেক্টর: তানভীর আমের হোসেন (নুমান)
প্রধান সম্পাদক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক: মো. রফিকুল ইসলাম
রিপোর্টিং ও প্রধান কার্যালয়: নাহার ম্যানশন (সি-৯), ১৫০ মতিঝিল সি/এ, ঢাকা – ১০০০। বাংলাদেশ।
ফোন: +88 09611-378696 , ইমেইল: [email protected]
© ২০২৪ ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত