মশাহিদ আহমদ, নিজস্ব প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: মৌলভীবাজারে জেলা সদরের বড়মান, ইটা সিংকাপন এলাকার “মেসার্স কালাম ব্রিকস” ফিল্ডসহ জেলার একাধিক ইটভাটায় জ্বলছে কাঠ, পুড়ছে কৃষি জমির মাটি। ইটভাটা নিয়ন্ত্রণে কঠিন আইন থাকা সত্ত্বেও কিছুই বাস্তবায়ন হচ্ছে না। পরিবেশ অধিদফতরের নীতিমালা উপেক্ষা করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে এসব অবৈধ ইটভাটা। সূত্রে জানা গেছে, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী, কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো কঠোর ভাবে নিষেধ রয়েছে। তাছাড়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পাহাড়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং লোকালয় থেকে তিন কি.মি. দূরত্বের মধ্যে কোনো ইটভাটা নির্মাণ করা যাবে না। কৃষি জমি, পাহাড়, টিলা থেকে মাটি কেটে ইটের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা আইনগত-ভাবে নিষেধ। এছাড়াও কৃষিজমিতে ইটভাটা তৈরির আইনগত নিষেধ থাকলেও কৃষিজমি, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্থান ও স্কুল ঘেঁষে অ-পরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে এসব ইটভাটা। সংশ্লিষ্টদের দায়সারা দু’একটি অভিযানেই দায়িত্ব পালন শেষ। এমন উদাসীনতায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে প্রকৃতি ও পরিবেশ। ধোঁয়ার কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন স্থানীয় লোকজন। অভিযোগ উঠেছে, বিপুল অর্থের বিনিময়ে মৌলভীবাজারে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করার কারণে তাদের সমস্যা হচ্ছে না। ভাটা মালিকরা এ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একের পর এক ইটভাটা স্থাপন ও বনভূমি উজাড় করে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মাঈদুল ইসলাম বলেন, উপরের নির্দেশনা না থাকার কারণে ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন চৌধুরী জানান- এইসব পরিবেশ অধিদপ্তর দেখার কথা। বিষয়টি আমি গুরুত্ব-সহকারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
প্রধান বার্তা সম্পাদক ও চেয়ারম্যান: মো. আতিকুর রহমান
ভাইস-চেয়ারম্যান ও ডিরেক্টর: তানভীর আমের হোসেন (নুমান)
প্রধান সম্পাদক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক: মো. রফিকুল ইসলাম
রিপোর্টিং ও প্রধান কার্যালয়: নাহার ম্যানশন (সি-৯), ১৫০ মতিঝিল সি/এ, ঢাকা – ১০০০। বাংলাদেশ।
ফোন: +88 09611-378696 , ইমেইল: [email protected]
© ২০২৪ ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত