আজকে সবচেয়ে সুখী সত্তা জিপিএ-৫ ধারী। সবচেয়ে খুশি তাদের বাবা-মা। পরিশ্রমের মাধ্যমে যে প্রাপ্তি অর্জিত হয়েছে তা সম্মানের। ভালো ফলাফলের দ্বারা জীবন যে গতিময় ট্রেনে উঠেছে তা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করলে তবেই সফলতা। যদি বিপথগামী হয় তবে স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটবে। যারা প্রাথমিক লক্ষ্যবস্তুকে স্পর্শ করতে পেরেছে তাদের প্রতি পরিবার, সমাজের আকাঙ্ক্ষা বেড়ে গেছে। যদি ধারা ব্যাহত না হয় তবে নিজের, সমাজের এবং রাষ্ট্রের পালকে আরও বহু-পালক যোজিত হবে! ভালো ফলাফল-ধারীদের জন্য শুভেচ্ছা। যারা জিপিএ-৫ পায়নি কিন্তু সঠিক ট্রাকে থাকবে সে একদিন হাজার হাজার জিপিএ-৫ কে টেক্কা দিবে। কতশত জিপিএ-৩ জিপিএ-৫ কে চেপে ধরবে তার ইয়ত্তা নাই। কত কত শুধু পাশ দেশ চালাবে, ব্যবসায় ভালো করবে, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে যাবে তার হিসাব বেহিসাব। গোল্ডেন-হীন, জিপিএ-৫ বিহীন কতশত প্রতিভা বিকশিত হবে, দেশের ভেতর-বাহির কাঁপাবে তা কে আগাম বলতে পারে! এখানে দ্বিতীয় শ্রেণীর মেধাবীরাই প্রথম শ্রেণীর মেধাবীদের পরিচালনা করে!
যারা ফেল করেছে কিংবা খারাপ করেছে তাদের সম্ভাবনা অমিত। আজকে যাদেরকে ধরাবাসী সফল হিসেবে চেনে, চর্চা করে তারাই জীবনের চলার পথে বেশিবার হোঁচট খেয়েছে। ধরে নাও এসএসসির রেজাল্ট তোমার জন্য তেমন একটি ছোট্ট ধাক্কা। পাক্কা পরিকল্পনা করো! নিজেকে এতো বেশি আলোকিত করো যাতে সমাজ তোমার থেকে আলো ধার নিতে বাধ্য হয়। ব্যর্থতা চূড়ান্ত কিছু নয় বরং সফল হওয়ার প্রথম সিঁড়ি। মেধায় তৃতীয়রাই প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীকে নিয়ন্ত্রণ করে! অতএব আশাবাদী হও!
জিপিএ-৫, পাশ কিংবা ফেল-জীবনের একটি পালক মাত্র তবে পরিণতি নয়। কে কোথায় গিয়ে থামবে, কাকে কোথায় নেওয়া হবে তবে ভাগ্য লিপিকার জানেন ভাগ্য নিয়ন্তাই ভালো-মন্দের পরিকল্পনা করেন। রেজাল্ট দিয়ে সফলতা মাপা যায় কিন্তু জ্ঞান মাপা যায় না। ব্যক্তিত্ব তো নয়ই। সমাজ ও রাষ্ট্র-গঠনে এ+ ধারী দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোরেরে চেয়ে আমাদের ভালো মানুষ বেশি দরকার! পরীক্ষার পাশ-ফেলে মানুষের ক্লাস আলাদা করতে পারে না! পাশের চেয়ে আমাদের মানবিকতা বেশি দরকার! ফেলের চেয়ে দেশের বেশি পাশের সংখ্যা দরকার! তুমি নিজেকে একটু একটু বদলাও। সময় তোমায় অনেকখানি বদলে দেবে! এইচএসসির রেজাল্টের উল্লাস আগামীকাল সন্ধ্যার আগেই হারিয়ে যাবে। তোমার মন খারাপকে আজকের সন্ধ্যার মধ্যেই দূর করে দাও। একবার ফেল করে তুমি বুড়ো হয়ে যাওনি, চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হওনি! জীবনের সব সম্ভাবনা এখনো হারিয়ে যায়নি। ওঠ, দাঁড়াও। অতঃপর জয়ী হও। পাশ করা তো মামুলি কি বাত আজকাল মানুষ চাঁদেও হাঁটতে পারে! কোন ধরনের সার্টিফিকেট ছাড়াও রাজ্য জয় করতে পারে! স্কুল থেকে ঝরে গিয়ে মহাকবিও হতে পারে! কীসে মন খারাপ করো? এতো অল্পতে? বড়দের জীবনের গল্প পড়ো। জীবনে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর জন্য পাশ-ফেলের কিচ্ছা গৌণ! তুমি অমিত সম্ভাবনা ধারণ করছো! নিজেকে চেনো এবং ছিনিয়ে আন। তোমার ধ্যান, তোমার চেষ্টা, তোমার মনোবল তোমাকে হারতে শেখায়নি! দৌঁড়াতে না পর অন্তত হাঁটো! হাঁটতে না পারলে হামাগুড়ি দাও কিন্তু থেমে যেও না। এখানে থেমে গেলেই মৃত্যু। জীবন্ত লাশ!
রাজু আহমেদ।
কলামিস্ট।
[email protected]
প্রধান বার্তা সম্পাদক ও চেয়ারম্যান: মো. আতিকুর রহমান
ভাইস-চেয়ারম্যান ও ডিরেক্টর: তানভীর আমের হোসেন (নুমান)
প্রধান সম্পাদক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক: মো. রফিকুল ইসলাম
রিপোর্টিং ও প্রধান কার্যালয়: নাহার ম্যানশন (সি-৯), ১৫০ মতিঝিল সি/এ, ঢাকা – ১০০০। বাংলাদেশ।
ফোন: +88 09611-378696 , ইমেইল: [email protected]
© ২০২৪ ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত