ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব এবং স্কুল অভ্ ফিউচার সমূহে জাপানি শিক্ষা পদ্ধতি ‘কুমন’ (আফটার স্কুল প্রোগ্রাম) চালুর লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং ব্র্যাক কুমন লিমিটেডের মধ্যে আজ আইসিটি অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মোস্তফা কামাল এবং ব্র্যাক কুমন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দা সারওয়াত আবেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (JETRO) এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইউজি আন্দো, ব্র্যাক কুমন লিমিটেডের প্রধান নেহাল বিন হাসানসহ আইসিটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
বলেন, জাপানি শিক্ষা মেথড ‘কুমন’ দেশে ছড়িয়ে দিতে এ বছর থেকে আইসিটি বিভাগের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবসমূহে কুমন শিক্ষাক্রম চালু করা হচ্ছে। ২০২৩ সালের মধ্যে ৬টি স্কুল অভ্ ফিউচারে পাইলট বাস্তবায়ন করা হবে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০০টি স্কুল অভ্ ফিউচারে পুরোপুরিভাবে আনন্দদায়ক এই শিক্ষা পদ্ধতি চালু করা হবে। পলক বলেন, শিক্ষার এই পদ্ধতি শিশুদের গণিত ও ইংরেজি ভীতি কাটানোর পাশাপাশি প্রতিভা বিকাশে সহায়ক হবে। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রয়োজন স্মার্ট সিটিজেন আর স্মার্ট সিটিজেনের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। ২০৪১ নাগাদ প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, উদ্ভাবনী আগামীর স্মার্ট ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়তে ব্র্যাক কুমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য, ১৯৫৮ সালে জাপানি গণিত শিক্ষক তরু কুমন সহজে গণিত ও ভাষা শিক্ষার একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন, যা ‘কুমন পদ্ধতি’ নামে পরিচিতি। প্রথমে জাপানে, পরে বিভিন্ন দেশে বিস্তার লাভ করেছে এই পদ্ধতি। বর্তমানে পৃথিবীর ৬০ দেশের ১৪ হাজার ৫০০ স্কুলে কুমন শিক্ষাপদ্ধতি চালু আছে। এর আগে প্রতিমন্ত্রী আইসিটি বিভাগের আইডিয়া ফ্লোরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপ-টেক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও আমব্রো সিস্টেমের চেয়ারম্যান সাইফ আল আলেলিসহ ৩ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় তারা ডিপ-টেকে বিনিয়োগ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, ফাইনানশিয়াল ডেটা সেন্টার, সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বার্তা সম্পাদক ও চেয়ারম্যান: মো. আতিকুর রহমান
ভাইস-চেয়ারম্যান ও ডিরেক্টর: তানভীর আমের হোসেন (নুমান)
প্রধান সম্পাদক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক: মো. রফিকুল ইসলাম
রিপোর্টিং ও প্রধান কার্যালয়: নাহার ম্যানশন (সি-৯), ১৫০ মতিঝিল সি/এ, ঢাকা – ১০০০। বাংলাদেশ।
ফোন: +88 09611-378696 , ইমেইল: [email protected]
© ২০২৪ ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত