ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন:ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা জাতীয় অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য। ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। ডিজিটাল যুগে বাংলাদেশের অভাবনীয় রূপান্তরের ধারাবাহিকতায় বাদ যাবে না গৃহকর্মীরাও। তিনি প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে গৃহকমীদের অর্জিত আয়ের নিরাপদ লেন-দেন নিশ্চিত ও সাশ্রয়ী করতে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস নগদ সেবা গৃহকর্মীদের জন্য নগদায়ন প্রয়োজনে মাশুলবিহীন করার ঘোষণা দেন। মন্ত্রী বুধবার ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে গৃহকর্মীদের ক্ষমতায়নে ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থাপনায় তাদেরকে অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ ঘোষণা দেন। বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন সমীক্ষা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সেলিনা আক্তারের সঞ্চালনায় ও শাহীন আনামের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মুসলিমা মৌ প্রমুখ বক্তৃতা করেন। মন্ত্রী ডিজিটাল যুগের জন্য ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে আয়োজকদের উদ্দেশ্যে বলেন, যাদের ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্তি করতে চান তাদের স্মার্টফোন আছে কি না এবং স্মার্টফোন তারা চালাতে পারে কি না ইত্যাদি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। আমি মনে করি গৃহকর্মীদের এ বিষয়ক দক্ষতা ও সামর্থ অর্জনে গৃহকর্তারাও সহায়তা করতে পারে। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, অতীতে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শিল্প বিপ্লব এই ভূখন্ডের মানুষ মিস করেছে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির হাত ধরে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বের জায়গায় উপনীত হয়েছ। এরই ধারাবাহিকতায় মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসে বাংলাদেশ পৃথিবীর সেরা দেশের কাতারে আছে। মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস দেশের আর্থিক খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছে। মোবাইল ফিনান্সিয়ার সার্ভিস ব্যাংক গুলোকে এখন তৃণমূলে যেতে বাধ্য করছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। মেয়েরা স্বাবলম্বী হলে কিংবা ক্ষমতায়িত হলে পরিবার ও সমাজ অনেক বেশি সুন্দর হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মেয়েরা যাতে ঘরে বসে আউট সোর্সিং করতে পারে সে উদ্যোগ আমরা বাস্তবায়ন করছি। ইতোমধ্যে মধুপুরের পাহাড়ের একটি গ্রামে তিনশতাধিক তরুণ-তরুণী আউটসোর্সিয়ের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়েছে। ধর্মপাশায় হাওর বেষ্টিত দুর্গম একটি গ্রামে বসে ৫০জন প্রোগ্রামার আউট সোর্সিংয়ের কাজ করছে বলে মন্ত্রী দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন। মন্ত্রী বলেন, গৃহকর্মীদের নিয়ে সমীক্ষা জরীপ কাজটি খুবই কঠিন তা সত্ত্বেও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ গৃহকর্মীদের জীবন মান উন্নয়নে কিছুটা হলেও অবদান রাখবে বলে তিনি আয়োজকদের এ কাজের প্রশংসা করেন। ভবিষ্যতে এর পরিধি তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য নারী-পুরুষের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য হ্রাস করাই এই সমীক্ষার মূল লক্ষ্য বলে উদ্যাক্তারা জানান। ঢাকা এবং এর আশপাশে ২৫০ জন গৃহকর্মী এবং গৃহকর্তার ওপর পরিচালিত হয় এই সমীক্ষা জরীপ।
প্রধান বার্তা সম্পাদক ও চেয়ারম্যান: মো. আতিকুর রহমান
ভাইস-চেয়ারম্যান ও ডিরেক্টর: তানভীর আমের হোসেন (নুমান)
প্রধান সম্পাদক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক: মো. রফিকুল ইসলাম
রিপোর্টিং ও প্রধান কার্যালয়: নাহার ম্যানশন (সি-৯), ১৫০ মতিঝিল সি/এ, ঢাকা – ১০০০। বাংলাদেশ।
ফোন: +88 09611-378696 , ইমেইল: [email protected]
© ২০২৪ ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত