হেলালী ফেরদৌসী, নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ঝিনাইদহে বিএনপি ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। ভাংচুর করা হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সোমবার দুপুরে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন উপলক্ষে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব চত্বরে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে। এসময় মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস উপলক্ষে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সরকারি কেসি কলেজ থেকে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের পুরাতন ডিসি কোর্টের সামনে পৌছালে অপর দিক থেকে আসা বিএনপি’র মিছিলের নেতাকর্মীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ। বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়ায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পিছু হটে সদর থানার মধ্যে চলে যায়। এতে ঝিনাইদহ মার্কেন্টাইল ব্যাংকের এক কর্মকর্তাসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরে পোস্ট অফিস মোড়ে অবস্থান করলে বিএনপি নেতাকর্মীরা জেলা যুবলীগ নেতা আশফাক মাহমুদ জনের মালিকাধীন মার্কেটের ‘বন্ড’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গ্লাস ভাংচুর কওে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। বিএনপি নেতাকর্মীরা শহরের মডার্ন মোড়ে অবস্থান নিলে ছাত্রলীগ আবারো বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা বিএনপির অফিসের দিকে যাবার চেষ্টা চালায়। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠি চার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান জানান, বিএনপির মিছিল থেকে আমাদের প্রিয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও বাজে মন্তব্য কটূক্তি করলে ছাত্রলীগ প্রতিবাদ করলে বিএনপি আমাদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে ছাত্রলীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপিকে প্রতিহত করায় তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত ঝিনাইদহ শহরে বিএনপিকে কোন নৈরাজ্য ও আগুন সন্ত্রাস করতে দেবে না। ছাত্রলীগ রাজপথে থেকে তাদের প্রতিহত করবে। এই সংঘর্ষে তাদের কোন নেতাকর্মী আহত হননি বলেও আল ইমরান দাবী করেন। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট এম এ মজিদ অভিযোগ করেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগ হামলার চেষ্টা করলে তারা ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিহত করে। এ সময় বিএনপির ধাওয়া খেয়ে ছাত্রলীগ সদর থানার মধ্যে আশ্রয় নেয়। এম এ মজিদ দাবী করেন হামলায় তাদের ৭ জন নেতাকর্মী কমবেশি আহত হন। আহতরা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আশফাক মাহমুদ জন বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলো। সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে। সেই সাথে আমার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সোহেল রানা জানান, পুলিশ ঘটনা শোনামাত্র ঘটনাস্থলে পৌছায়। এরপর দুই পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো আটক বা মামলা হয়নি। ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার জানান, বিএনপি ও ছাত্রলীগের পৃথক কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। উভয়পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে একে অপরের প্রতি হামলার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কোন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তবে কোন ক্ষতিগ্রস্থ্ দোকান মালিক অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
প্রধান বার্তা সম্পাদক ও চেয়ারম্যান: মো. আতিকুর রহমান
ভাইস-চেয়ারম্যান ও ডিরেক্টর: তানভীর আমের হোসেন (নুমান)
প্রধান সম্পাদক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক: মো. রফিকুল ইসলাম
রিপোর্টিং ও প্রধান কার্যালয়: নাহার ম্যানশন (সি-৯), ১৫০ মতিঝিল সি/এ, ঢাকা – ১০০০। বাংলাদেশ।
ফোন: +88 09611-378696 , ইমেইল: [email protected]
© ২০২৪ ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত