দিনাজপুর, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘যারা বলে পাকিস্তান এর থেকে ভাল ছিল, পাকিস্তানে ভাল ছিলাম, পাকিস্তান ভাল থাক’- আমরা তাদেরকে চিনি। আমরা সেদিকে তাকাবো না। আমরা ভীতসন্ত্রস্ত নই। আমরা অনেক সামরিক জান্তা দেখেছি। আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা অনেক রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে স্বাধীনতাবিরোধী নরপিশাচদের মোকাবেলা করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করেছি। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করেছি। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে সংস্কৃতি পেয়েছি সে সংস্কৃতিকে কেউ আঘাত করতে পারবেনা। এ সংস্কৃতি এগিয়ে যাবে দুর্বার গতিতে। প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার দিনাজপুরে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান নবরুপী আয়োজিত ‘শাহজাহান শাহ্ ২য় নাট্যোৎসব, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২২’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, পচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অন্যান্য অঙ্গনের মতো সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। যুব সমাজকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিল। মাদক ও অর্থ দিয়ে সমাজ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছিল। এখন সে অবস্থানে বাংলাদেশ নেই। বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করেছেন। এটাকে ধরে রাখতে হবে। কেউ যেন আঘাত করতে না পারে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী একজন সাহিত্য ও সংস্কৃতি অনুরাগী মানুষ। তিনি সাহিত্যকে লালন ও ধারন করেন এবং সেটাকে এগিয়ে নিতে পৃষ্ঠপোষকতা করেন। দেশে সংস্কৃতি চর্চার লক্ষ্যে প্রতিটি জেলায় আধুনিক শিল্পকলা একাডেমী প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রতিটি উপজেলায় শিল্পকলা একাডেমী প্রতিষ্ঠার কাজ চলমান রয়েছে। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪৩ বছর বয়সে বাংলাদেশের মুক্তির সনদ ৬-দফা দিয়েছিলেন এবং মাত্র ছয় বছরের মধ্যে এ মুক্তির সনদ বাঙালি জাতি এক দফায় পরিণত করেছিল। আর তা হচ্ছে স্বাধীনতা। এ স্বাধীনতার পিছনে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিদের বিশেষ ভূমিকা ছিল। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক বিপ্লব চেয়েছিলেন, যা আমাদের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করবে- যেটি মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ছিল।
নবরুপী সংগঠনের সভাপতি আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ এবং দৈনিক বিরল এর সম্পাদক ও প্রকাশক রমাকান্ত রায় প্রমুখ।
প্রধান বার্তা সম্পাদক ও চেয়ারম্যান: মো. আতিকুর রহমান
ভাইস-চেয়ারম্যান ও ডিরেক্টর: তানভীর আমের হোসেন (নুমান)
প্রধান সম্পাদক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক: মো. রফিকুল ইসলাম
রিপোর্টিং ও প্রধান কার্যালয়: নাহার ম্যানশন (সি-৯), ১৫০ মতিঝিল সি/এ, ঢাকা – ১০০০। বাংলাদেশ।
ফোন: +88 09611-378696 , ইমেইল: [email protected]
© ২০২৪ ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত