হেলালী ফেরদৌসী, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে আওয়ামী লীগের ১০/১২টি পরিবারের সদস্যদের মামলা দিয়ে ফাঁসানোসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের দুধসরা দোলপাড়া প্রামে। বিষয়টি তদন্ত-পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা। সূত্রে জানা গেছে, দুধসরা গ্রামের মৃত গোলাম হোসেন, মণ্ডল হোসেন, হাতেম, ফরজ, মধু, কাসেম, দিল মোহাম্মদ,আইনাল কামার ওয়ার্ড কমিশনার মাহবুব খাঁন হানিফের সাথে যোগসাজস করে একের পর এক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এরপর মীমাংসার করে দেওয়ার কথা বলে হাসান আলী, হাবিব শেখ ও হাসেম মণ্ডলের কাছ থেকে ৫লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগী ইসাহাক আলী জানান, আমার স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন,ছেলে আনিস ও রিপনের নামে বাদী হয়ে আইনাল কামার একটি মিথ্যা ও হয়রানী মূলক মামলা দায়ের করে। এই মামলায় আমি ও আমার স্ত্রী গতকাল বুধবার জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বের হয়েছি। আমার দুই ছেলে এখনও কারাগারে রয়েছে। আমি পেশায় একজন দিন মজুর। আমাকে টাকার বিনিময়ে মামলাটি মীমাংসা করার জন্য হানিফ কমিশনার বলেছিল। টাকা না থাকায় আমি রাজি হয়নি। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুর মোহাম্মদ জানান, ওই পরিবারটি বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত। স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার হানিফ সেও বিএনপির রাজনীতি করে। এদের চক্রান্তে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়া ভুক্তভোগী হাসেম মণ্ডল, রায়দুল গাজী, স্বপন, পিরু, কাসেম, ফজের, কামরুল হাসান কাকন, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও বাবুল হোসেন একই রকম অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওয়ার্ড কমিশনার মাহবুব খাঁন হানিফ কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান আলী জানান, দল এখন ক্ষমতায় আছে, অন্যায় ভাবে এসময়ে আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্যদের হয়রানী করার বিষয়টি দুঃখজনক।
প্রধান বার্তা সম্পাদক ও চেয়ারম্যান: মো. আতিকুর রহমান
ভাইস-চেয়ারম্যান ও ডিরেক্টর: তানভীর আমের হোসেন (নুমান)
প্রধান সম্পাদক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক: মো. রফিকুল ইসলাম
রিপোর্টিং ও প্রধান কার্যালয়: নাহার ম্যানশন (সি-৯), ১৫০ মতিঝিল সি/এ, ঢাকা – ১০০০। বাংলাদেশ।
ফোন: +88 09611-378696 , ইমেইল: [email protected]
© ২০২৪ ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত