মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: শ্রীমঙ্গলে লাংলী নদীতে (বিলাস নদী) অবৈধ ও অ-পরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি অসাধু চক্র। অ-পরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদীর পাড়ে বসবাসকারী অসহায় লোকজন। সূত্রে জানা গেছে, রাজঘাট দিয়ে প্রবাহিত লাংলী নদী হেতিমগঞ্জ নামক স্থানে বিলাস নদীতে গিয়ে হাইল হাওরে মিলিত হয়েছে। বর্তমানে এ নদীর রূপরেখা খালে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অলিপুর (মতিগঞ্জ) গ্রামের ইছল মিয়া ওরফে মায়া মিয়ার পুত্র হায়দর মিয়া অবৈধ ভাবে লাংলী নদী থেকে অত্যাধুনিক মেশিন এর মাধ্যমে বালু প্রতিবার বালু উত্তোলন করছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার সতর্কবার্তা দেওয়ার পরও বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন। ফলে জনসাধারণ এর জন্য চলাচলের জন্য রাস্তা ও বাড়ী ঘর হুমকির মুখে রয়েছে। বর্ষায় নদীগুলোর দু’তীর ভেঙে প্লাবিত হয়ে পানিতে তলিয়ে ঘরবাড়ি ও কৃষকের সোনালী ফসল। স¤প্রতি সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়- শ্রমিকরা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে ট্রাক ও ট্রলিতে দিচ্ছে। তোলা এসব বালু বিভিন্ন স্থানে স্থাপনা নির্মাণ কাজে পরিবহন করা হচ্ছে বলেও তারা জানান। স্থানীয় লোকজন জানান- অবৈধ ভাবে প্রভাবশালী মহলটি ক্ষমতার দাপট ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এসব সাবাড় করে ফেলছে। ফলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকি মুখে পড়েছে। এমন দুর্দশা চলতে থাকলে কয়েক বছরের মধ্যেই দৈন্য দশায় নদীগুলো নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছে তাও বিলীন হয়ে যাবে। প্রতিবছরই পলি জমে ভরাট হচ্ছে নদী। আর এই সুযোগে চলছে দখল উৎসব। এসব অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে সরকার বিপুলপরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী সচেতন এলাকাবাসীর। এ ব্যপারে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা‘র মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও মুঠোফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
www.bnc24.com
©2013-2024 Copyright Broadcasting News Corporation All Rights reserved.