ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দেশের পাঁচ হাজার নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন উইমেন এন্ড ই-কমার্সের মাধ্যমে দেশের ৬৪টি জেলা এবং ৫০০টি উপজেলায় দেশের নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা শুরু করার জন্য স্টার্টআপ সিড মানি হিসেবে এই অর্থবছরে চালু করা হবে। আইসিটি বিভাগের অধীন বিগত দিনে আইডিয়া প্রকল্প হতে ২ হাজার নারী উদ্যোক্তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী শনিবার (২ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) রাজধানীর পূর্বাচলে দেশীয় নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন উইমেন এন্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট উই এর উদ্যোগে আয়োজিত “উই কালারফুল ফেস্ট ২০২৪” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ ঘোষণা দেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসার মাধ্যমে ই-কর্মাস প্রসারিত হচ্ছে। তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আইসিটি বিভাগ নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে নারী ক্ষমতায়ন, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জেন্ডার সমতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বা রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি নারী ক্ষমতায়নের ও কর্ম সৃজনের অগ্রদূত। তাঁরই নিরলস পরিশ্রম এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন চিন্তাধারা, সংবেদনশীলতা এবং সকল কিছুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের নারীরা দৃশ্যমানভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে এসেছে। সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশও তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ সুবর্ণ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়েছে স্বল্পমূল্যে উচ্চ গতির ইন্টারনেট উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ১৩ কোটির অধিক। উচ্চ গতির ইন্টারনেট সুবিধা থাকার ফলে দেশের উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য এবং ব্যবসা প্রসার করতে সম্ভব হচ্ছে। সাধারণ মানুষ তাঁদের প্রয়োজনীয় সেবাটি যেন সুবিধামত সময়ে, জায়গায় এবং মাধ্যমে নিতে পারে সেজন্য ২০০০ এরও অধিক সেবাকে ডিজিটাইজড করা হয়েছে। জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে সারাদেশে প্রায় ৯ হাজারের অধিক ডিজিটাল সেন্টারে প্রায় ১৮ হাজারের বেশি উদ্যোক্তা কাজ করছেন। যেখানে প্রায় ৫০ শতাংশই নারী উদ্যোক্তা। এর ফলে একদিকে নারী-পুরুষের বৈষম্য, অপরদিকে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য ও গ্রাম-শহরের বৈষম্য দূর হয়েছে বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নের জন্য নারীদের আর্থিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং সক্ষমতার তৈরির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছেন। শী পাওয়ার প্রজেক্ট এর মাধ্যমে ২১টি জেলায় ১০,৫০০ জন নারী উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। বাকী ৪৩টি জেলায় হার পাওয়ার প্রজেক্টের মাধ্যমে আরো ২৫ হাজারের অধিক স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে। অনুষ্ঠানে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক ফরেন সার্ভিস অফিসার জেমস গার্ডিনার, বাংলাদেশ হাইটেক-পার্ক কর্তৃপক্ষের এমডি জিএসএম জাফরউল্লাহ, ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার, উইমেন ও ই-কমার্স ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা নাসিমা আক্তার নিশাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
www.bnc24.com
©2013-2024 Copyright Broadcasting News Corporation All Rights reserved.