ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। রবিবার ওল্ড ইন্ডিয়া হাউজে ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত ফুড সিকিউরিটি এন্ড ইম্পর্টেন্স অব মিলেট শীর্ষক প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। মন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যার ঊর্ধ্বগতি ও জলবায়ুর বিরূপ পরিবর্তন আমাদের খাদ্য নিরাপত্তাকে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। ধান ও গমের উৎপাদন কম হলে সারা পৃথিবীতে খাদ্যসংকট দেখা দেয়। ফলে চাল ও গমের দাম বেড়ে যায়। এ সংকট কাটাতে মিলেট (স্মল গ্রেইন সিরিয়ালস) উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়াতে হবে। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রাচীনকাল থেকে উপমহাদেশে মিলেটের উৎপাদন ও ব্যবহার ছিলো। এটির চাষ করতে খরচ কম কিন্তু পুষ্টিমান বেশি এবং জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় এটি সক্ষম। আমাদের দেশে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগজ্ঞ জেলায় মিলেট চাষের উপযোগী আবহাওয়া রয়েছে। এছাড়া দেশের কিছু অঞ্চলে কাউন ও চিনা আবাদ হয় যা মিলেট গোত্রের ফসল। যে সকল জমিতে ধানের আবাদ হয়না কিংবা খরা প্রবণ সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রেখে মিলেট চাষ করা যেতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের চরাঞ্চলেও মিলেট সম্ভাবনাময় ফসল হতে পারে। মিলেট যেহেতু পুষ্টিমানসম্পন্ন তাই এর চাষাবাদ ও বাজারজাতকরণে সচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। মিলেটকে জনপ্রিয় করে তুলতে ভারত ও বাংলাদেশ একযোগে কাজ করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রনয় ভার্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের বাংলাদেশ রিপ্রেজেনটেটিভ রবার্ট ডি সিম্পসন। কি নোট পেপার উপস্থাপন করেন শেরে বাংলা এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. মির্জা হাসানুজ্জামান। উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ অধিবেশনে ২০২৩ সালকে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব মিলেট ঘোষণা করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন দেশে মিলেট নিয়ে সভা, সেমিনার ও প্রদর্শনী আয়োজন করে আসছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
www.bnc24.com
©2013-2024 Copyright Broadcasting News Corporation All Rights reserved.