চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে মাগুরায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মীদের গু*লিতে শহীদ মেহেদী হাসান রাব্বির পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর একটি প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দলটি মাগুরার জেলা ছাত্রদল নেতা শহীদ রাব্বির পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন। মাগুরায় শহীদ রাব্বির পরিবারসহ মোট ১০টি শহীদ এবং ১টি আহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়।
রবিবার (১০নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) বিকেলে মাগুরা পৌরসভার বরুণাতৈল গ্রামে শহীদ রাব্বির বাসায় গিয়ে তার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি’র কোষাধ্যক্ষ ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন- ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহবায়ক ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে গত ০৪ আগস্ট আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মিছিলের সামনের সারিতে দাঁড়িয়েছিলেন মেহেদী হাসান রাব্বি। সেখানেই ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মীদের গু*লিতে গু*লিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন মাগুরা জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক রাব্বি। মাগুরা পৌরসভার বরুণাতৈল গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মেহেদী হাসান রাব্বি।
শহীদ মেহেদী হাসান রাব্বির স্ত্রী রুমি খাতুন এবং ছোটভাই ইদ্রিস হোসেন বিশ্বাস বলেন- পুলিশ নয়, ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা-কর্মীদের গুলিতেই রাব্বি প্রাণ হারিয়েছেন। এসময় আন্দোলনে থাকা রাব্বির ভাতিজা খালিদ বিশ্বাসসহ অন্তত ২০জন আহত হন। গত মে মাসে বিয়ে করেছিলেন শহীদ মেহেদী হাসান রাব্বি। সংসার শুরু করার আগেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ঘাতকের বু*লেট কেঁড়ে নেয় তাঁর প্রাণ। এরইমধ্যে স্ত্রী রুমী খাতুনের গর্ভে এসেছে রাব্বির রেখে যাওয়া স্মৃতি। শুধু রাব্বি নেই, চলে গেছেন দেশ রক্ষার ডাকে সাড়া দিয়ে, চিরতরে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।