বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মু. তাহের বলেছেন, মেধা, যোগ্যতা, প্রজ্ঞা ও নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জনের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার সংগ্রামে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ময়দানে আপোষহীন ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি দ্রুততার সাথে রাষ্ট্রীয় সংস্কার সম্পন্ন করে অবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে জনগণের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অন্তর্বর্তী সরকারে প্রতি আহবান জানান।
তিনি শনিবার (০৯নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
থানা আমীর মু. মোস্তফা মোল্লার সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি এডভোকেট রেজাউল ইসলাম খান সুমন এর সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। বক্তব্য রাখেন জেলা আমীর এস ইউ এম রুহুল আমিন ভূঁইয়া, নায়েবে আমীর এ আর হাফিজ উল্লাহ, সেক্রেটারি ফারুক হোসেন নুরনবী প্রমুখ।
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মু. তাহের বলেন, গত প্রায় ১৬ বছরের শাসনে আওয়ামী-বাকশালীরা রাষ্ট্রীয় সকল অবকাঠামোকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা রাষ্ট্রের জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ ও শিক্ষা প্রশাসনকে দলীয়করণ করে দেশকে ফ্যাসীবাদী ও মাফিয়াতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। ধ্বংস করা হয়েছে দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনকে পরিণত করা হয় দলদাস কমিশনে। এসব কমিশন দেশে নির্বাচনের নামে প্রহসন করে গণধিকৃত আওয়ামী লীগকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছিল। তাই দেশে সুশাসন ফিরিয়ে আনা সহ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রীয় সংস্কারের কোন বিকল্প নেই।”
তিনি বলেন, “ফ্যাসীবাদের পতন হলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনো সক্রিয় রয়েছে। রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টর থেকে এদের কালো ছায়া এখনো কেটে যায়নি। তারা ছাত্র-জনতার যুগপৎ বিপ্লব নস্যাৎ করার জন্য ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। অন্তবর্তী সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে খুব একটা সাফল্য দেখাতে পারেনি। কারণ, বাজারের নিয়ন্ত্রণ এখনো ফ্যাসীবাদী অপশক্তির হাতেই রয়ে গেছে। তাদের আমলের বাজার সিন্ডিকেট এখনো তৎপর রয়েছে। তাই বাজার পরিস্থিতি এখনো অনিয়ন্ত্রিতই। বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও অগ্নিমূল্য রোধ করা সম্ভব হয়নি।
এমতাবস্থায় পতিত স্বৈরাচারের খপ্পর থেকে বাজারের নিয়ন্ত্রণ উদ্ধার করতে সরকারকে শূণ্য সহনশীলতা দেখিয়ে দায়িদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সম্মেলনে উদ্বোধন ঘোষণা করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ কাউসার আহমেদ বিজয়ের গর্বিত পিতা ফিরোজ আলম। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে আরো উপস্থিত ছিলেন শহীদ পারভেজ এর গর্বিত পিতা মোহাম্মদ নূরনবী।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।