All Menu

রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

বুধবার (০৯ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) বেলা ১২টায় রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে “রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা” উপস্থাপন করেন আমীরে জামায়াত ডক্টর শফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতে ডক্টর শফিকুর রহমান বিগত সরকারের আমলে হয়রানী, নিপীড়ন, গুম ও খুনের কথা তুলে ধরেন। অতীতে যাদেরকে তুলে নেয়া হয়েছে। সেখান থেকে খুব অল্প সংখ্যক মানুষ সেখান থেকে ফিরে আসতে পেরেছে। বাকিদের কপালে কি ঘটেছে এ জাতি জানে না। তাদের আপনজনেরা জানে না। তাদের আপনজনের সাথে আমরা সমানভাবে ব্যথিত। অপশাসনের কালো অধ্যায় আল্লাহতালা তাঁর মেহেরবানী দিয়ে, সাহায্য দিয়ে অপসারণ করে দিয়েছেন ৫ আগস্ট। এজন্য মহান আল্লাহর দরবারে তিনি আবারও শুকরিয়া আদায় করেন। তিনি আরও বলেন, শেষ পর্যন্ত আমাদের তরুণ তরুণী, ছেলে-মেয়েদের হাতে এ আন্দোলন চূড়ান্ত পরিণতি পেয়েছে। আমি আরেকবার তাদেরকে ভালোবাসা শুভেচ্ছা এবং শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি এ আন্দোলনকে তার চূড়ান্ত পরিণতিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এ সময় তিনি বলেন, আমরা মৌলিক কি কি সংস্কার প্রয়োজন মানে করি সে ভাবনা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের কে সংস্কার ভাবনা উপস্থাপনের জন্য আহবান জানান।

এসময় আমীরে জামায়াত ডক্টর শফিকুর রহমান এর পক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর নায়েবে আমির সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের সংস্কার ভাবনা উপস্থাপন করেন। নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহে ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। সংস্কার ব্যতীত নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে না।

আইন বিষয়ক সংস্কার:
উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগের জন্য সুষ্ঠু ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। বিচার বিভাগ থেকে দ্বৈত শাসন দূর করতে হবে।
বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করণের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আইন মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা করে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে আলাদা পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার স্বার্থে বিদ্যমান আইনসমূহে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরামর্শের মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্য-শীল আইন প্রণয়ন করতে হবে।
সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ ও কালাকানুন আইন বাতিল করতে হবে।
বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা কমাতে বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্ট এর বেঞ্চ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নিন্ম আদালতের যথাযথ স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য পৃথক পৃথক বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করতে হবে।
সকল ফৌজদারি মামলা তদন্তের জন্য স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
দেওয়ানি মামলার জন্য সর্বোচ্চ ৫ বছর এবং ফৌজদারি মামলাসমূহের জন্য সর্বোচ্চ ৫ বছরের মধ্যে মামলাসমূহ নিষ্পত্তি করার বিধান থাকতে হবে।

সংসদ বিষয়ক সংস্কার:
সংসদ এর প্রধান বিরোধী দল থেকে একজন ডেপুটি স্পিকার মনোনয়ন করার ব্যবস্থা করতে হবে।
সংসদীয় বিরোধী নেতা ব্যক্তিকে ছায়া মন্ত্রীসভা গঠনের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ হবে।
সংসদীয় বিরোধী দলীয় সদস্যদের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।

নির্বাচন ব্যবস্থা:
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রফেশনাল রিপ্রেসেন্টেটিভ ব্যবস্থা পি আর চালু করতে হবে।
সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে স্থায়ীভাবে সন্নিবেশিত করতে হবে।
ইভিএম ভোটিং ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে।
কোন সরকারি চাকরিজীবী তাদের চাকরি ছাড়ার ৩ বছরের মধ্যে কোন ধরণের নির্বাচনী প্রার্থী হতে পারবেন না।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয়-ভাবে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করতে হবে।
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ২০০৮ সালের কলঙ্কিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রথা বাতিল করতে হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন একাধিক দিনে অনুষ্ঠিত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
ন্যাশনাল আইডি ব্যবস্থাপনা নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনতে হবে।

আইন শৃঙ্খলা সংস্কার:
পুলিশ বাহিনীর সংস্কার:
১৮৬১ সালে ব্রিটিশ সরকার ব্যবহৃত পুলিশ আইন পরিবর্তন এবং পুলিশের জন্য একটি পুলিশিং গাইড লাইন প্রণয়ন করতে হবে।
পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ, বদলি, পদন্নোতি এবং চাকরিক্ষেত্রে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করতে হবে।
নিয়োগ, বদলি, পদন্নোতি এবং চাকরীচ্যুতির ক্ষেত্রে কোন রাজনৈতিক কিংবা অরাজনৈতিক ব্যক্তির সুপারিশের সুযোগ রাখা যাবে না।
পুলিশ ট্রেনিং মেমোরেন্ডাম এর মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষা ও নৈতিক অনুশাসন অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
পুলিশের মধ্যে মারণাস্ত্র ব্যবহার সংক্ষিপ্ত করতে হবে।
রিমান্ড চলাকালে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে আসামি-পক্ষের আইনজীবীর উপস্থিতি এবং মহিলা আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাদের অভিভাবকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
বিচার বিভাগীয় সদস্যদের দ্বারা পুলিশ ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান থাকতে হবে।
পুলিশের ডিউটি এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
পুলিশের পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং পরিমার্জনের মাধ্যমে আধুনিকায়ন করতে হবে।

র‍্যাব বিষয়ক সংস্কার:
র‍্যাব ও অন্যান্য বিশেষিত বাহিনীর প্রতি জনসাধারণের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে।
গত সাড়ে ১৫ বছর যারা র‍্যাবে কাজ করছে তাদেরকে স্ব স্ব বাহিনীতে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং তাদেরকে পুনরায় র‍্যাবে নিয়োগ দেয়া যাবে না।
বিচার বহির্ভূত সকল প্রকার হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।
র‍্যাবের সামগ্রিক কার্যক্রম পর্যালোচনার জন্য সেল করতে হবে।
নীতিমালা প্রণয়ন ও অনুসরণ নিশ্চিত করতে হবে।

জনপ্রশাসন সংস্কার:
জনবল নিয়োগ বদলী পদায়নে তদবির সুপারিশ ও দলীয় আনুগত্যের পরিবর্তে যোগ্যতা দক্ষতা এবং সততাকেই প্রাধান্য দিতে হবে।
যে কোন চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকে শুরু করে নিয়োগ পর্যন্ত সময়ক্ষেপণ না করে যৌক্তিক সময়ের ভিতরে সম্পন্ন করতে হবে।
সরকারী চাকরিতে আবেদন বিনামূল্যে করতে হবে। সরকারী চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে কোন ফি সিস্টেম থাকবে না।
সরকারী চাকরিতে আবেদন আগামী ২ বছরের জন্য ৩৫ বছর এবং পরবর্তী বছরের জন্য ৩৩বছর এবং অবসরের সময়সীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে।
চাকরির আবেদনের সকল ক্ষেত্রে বয়স-সীমার বৈষম্যের অবসান করতে হবে।
সকল সরকারী দপ্তরের দুর্নীতি রোধকল্পে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। কেউ দুর্নীতি করার সুযোগ যাতে না পায় এজন্য প্রয়োজনীয় মনিটরিং সেল এর ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
চাকরিতে বিরাজমান আন্তকাড্যার বৈষম্য দূর করতে হবে।
বিগত সরকারের আমলে যারা প্রশ্নপত্র ফাঁস ও দুর্নীতি জালিয়াতি ও দলীয় বিবেচনায় চাকরি পেয়েছে তাদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে।

দুর্নীতি:
দুর্নীতি দমন কমিশনে পরিক্ষিত সৎ ন্যয়পরায়ন দক্ষ ও যোগ্য লোক নিয়োগ করতে হবে।
রাষ্ট্রের সকল সেক্টরে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী নিরপেক্ষভাবে কাজ করার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
বিগত সরকারের আমলে দেশ থেকে পাচার-কৃত অর্থ ফেরত আনার উপযুক্ত বিধান প্রণয়ন ও তা কার্যকরী করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
মন্ত্রণালয় ভিত্তিক দুর্নীতি দমন কমিশন করতে হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশন এ আইন সংস্কার পরিধি ও জনবল বৃদ্ধি করতে হবে।

সংবিধান সংস্কার:
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার বিধান সমন্বিত করতে হবে।
একইব্যক্তি পরপর দুই মেয়াদের বেশী প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না।

শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংস্কার:
বিরাজমান সমস্যার আলোকে শিক্ষা সংস্কার প্রশ্নবিদ্ধ।
ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত মাধ্যমিক এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীকে উচ্চ মাধ্যমিক হিসেবে বলবত রাখতে হবে।
অষ্টম শ্রেণীর পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করে পূর্বের পরীক্ষা পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে হবে।
সকল শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রথা দিতে হবে।
পাঠ্যপুস্তকে ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস গুরুত্বের সাথে তুলে ধরতে হবে।
সকল শ্রেণীতে নবী করিম (সঃ) এর জীবনীসহ মহামানবদের জীবনী সম্বলিত করতে হবে।
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং বিদ্যমান স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে সরকারীকরণ করতে হবে।
প্রতিটি জেলায় কমপক্ষে একটি কওমি মাদ্রাসাকে সরকারীকরণ করতে হবে।
কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষাকে সাধারণ শিক্ষার মূলধারায় যুক্ত করতে হবে।
ডিপার্টমেন্ট অব হায়ার এডুকেশন এ একটি স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠন করতে হবে।
শিক্ষা সংস্কার এর লক্ষে গঠিত শিক্ষা সংস্কার কমিশন এর সকল ধারা তথা সাধারণ আলিয়া ও কওমি প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্কার প্রস্তাব:
জাতীয় ঐতিহাসিক আন্দোলন ও সংগ্রামের আলোকে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে।
জাতীয় ঐতিহাসিক দিনগুলোকে নিয়ে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পালন করতে হবে।
নাটক সিনেমাসহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানগুলো অশ্লীলতা-মুক্ত করতে হবে।
নাটক সিনেমা ও বিভিন্ন কন্টেন্টে বিভিন্ন ধর্ম বিশেষ করে ইসলামকে হয় করা রোধে বিধান করতে হবে।
প্রাণী মূর্তিমূলক ভাস্কর্য তৈরি না করে দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে প্রাধান্য দিতে হবে।
সকল মাধ্যমে শিক্ষা মূলক প্রচার নিশ্চিত করতে হবে।

পররাষ্ট্র বিষয়ক সংস্কার :
সকল গণতান্ত্রিক দেশের সাথে সাম্য ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।
জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় চীন নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যকার আন্তর্জাতিক নদীসমূহের পানিবন্টন চুক্তির উদ্যোগ নিতে হবে এবং সমাধান করতে হবে।
আশিয়ান-ভুক্ত দেশসমুহের সাথে বাণিজ্যের সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে।
অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে বিগত সরকারের আমলে সম্পর্কের যে সকল চুক্তি রয়েছে তা স্বীকৃত কমিশন দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশকে আশিয়ান জোটভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
শক্তিশালী সার্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
কোন দেশের সাথে চুক্তি অথবা সমঝোতা স্মারক হলে পরবর্তী সংসদ অধিবেশনে সে সব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক উত্থাপিত করে বিস্তারিত আলোচনা পূর্বক তার অনুমোদন নিতে হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় শীর্ষক সংস্কার প্রস্তাব:
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশকে রাষ্ট্রের কল্যাণে প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীকে সংস্থা বা দপ্তরে রূপান্তর করতে হবে। যাতে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।
হজ ব্যবস্থাপনার জন্য স্বতন্ত্র অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করতে হবে। হজ ও ওমরাহ খরচ কমানোর জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিতর্কিত সকল বই বাতিল করতে হবে এবং প্রকাশনা বন্ধ করতে হবে।
সকল ধর্মের পরিচয় ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
প্রেস-ব্রিফিং শেষে আমীরে জামায়াত ডক্টর শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top