বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, এবারের পূজাটা যেন নতুন বাংলাদেশের পূজা হয়। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে কিছু থাকতে পারে না। এখানে আমরা সবাই একটা পরিবারের মানুষ। আমরা এখানে কে হিন্দু, কে বৌদ্ধ এটা নিয়ে কোনো বৈষম্য নয়। সোমবার (০৭ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৪ উদ্যাপন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। সামাজিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেছেন, আমরা ঈদে আনন্দ করবো পূজায় ভয়ে থাকবো এটা হয় না। আমাদের পূজায় কেন ভয়ে থাকতে হবে। পুলিশ-আনসার দিয়ে পাহারা দিয়ে পূজাটাকে আনন্দময় করবো এটা তো হতে পারে না। পূজায় হিন্দু-মুসলিম সবাই মিলে আমরা আনন্দ করতে চাই, সেজন্য সামাজিকভাবে পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে যেন সবাই আনন্দটা করতে পরি।
সবাই যদি চেষ্টা করি তাহলে অবশ্যই ভালো একটা পূজা করতে পারবো। উপদেষ্টা আরো বলেন, দীর্ঘদিনের মানুষের মধ্যে বৈষম্য ও বঞ্চনা এবং পুঞ্জিভূত ক্ষোভের ফলে আন্দোলন তুঙ্গে উঠেছিল এবং এ আন্দোলন ছিল ছাত্র-জনতার সর্বোপরি সর্বস্তরের মানুষের আন্দোলন। এ আন্দোলনে সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি হয় যাদের অধিকাংশই ছাত্র। কাজেই এ আন্দোলনের ফলে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার শুধু দায়িত্ব নয় বরং কর্তব্য বলে মনে করছে। তার অধিকাংশই তরুণ ছেলেরা, আমাদের সন্তানেরা প্রাণ দিয়েছে। বাংলাদেশকে সম্প্রীতির দেশ হিসেবে উল্লেখ করে ফরিদা আখতার বলেন, বিভিন্ন সময় মুসলমান পূজা দেখতে যায় আবার সনাতন ধর্মাবলম্বীরাও ঈদের আনন্দ উদ্যাপন করতে আসে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নির্বিঘ্নে পূজা উদ্যাপন করতে সেনাবাহিনীসহ স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একযোগে সর্বোচ্চভাবে কাজ করে যাচ্ছে দেখে এসময় উপদেষ্টা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হকের সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চালনায় পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম সানতু, জেলা পূজা উদ্যাপন সমিতির সভাপতি চিত্ত রঞ্জন সরকার, সেনা বাহিনীর কর্মকর্তা, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।