All Menu/p>

হাওড়ে এলাকাভিত্তিক মাছ রক্ষায় সময় নির্ধারণ করা দরকার

হাওড়ে এলাকাভিত্তিক মাছ রক্ষায় বিভিন্ন সময় নির্ধারণের আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মাছের সাথে সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর কথা আমাদের ভাবতে ও অগ্রধিকার দিতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের জীবনযাত্রায় যেন কোনো ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) ‘হাওড় অঞ্চলে দেশীয় প্রজাতির মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মৎস্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, হাওড়ে এমন কোনো নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করা যাবে না, যে জাল দিয়ে মাছ সমূলে নিধন হয়। হাওড়ে ধানের জমিতে বিষাক্ত রাসায়নিক বা কীটনাশক ব্যবহারের বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করার অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। এক্ষেত্রে মৎস্য অধিদপ্তরকে আইনের কঠোর প্রয়োগের আহ্বান জানান তিনি। কর্মশালায় হাওড়ে এলাকার ইজারার বিষয়ে আলোচনা হলে উপদেষ্টা হাওড়ের সাথে ইজারাদারদের স্বার্থ সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় ইজারা দিলেও ইজারার শর্ত কঠোরভাবে প্রয়োগ করে হাওড় বাঁচাতে হবে। প্রয়োজনে বৃক্ষ রোপণ করে হাওড় অঞ্চলে প্রাকৃতিক পরিবেশের সুরক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জলাভূমির গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে রামসার কনভেনশনে স্বাক্ষর করলেও এখনও পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা মানছে না। বিশ্বব্যাপী ২ ফেব্রুয়ারিকে বিশ্ব জলাভূমি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে বাংলাদেশে একই তারিখে হাওড়ে এ দিবস পালনের আহ্বান জানান। এছাড়া হাওড়ের গুরুত্ব উপলব্ধিতে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন। মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরো বক্তৃতা রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড.অনুরাধা ভদ্র, হাওড়ের সাথে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা-সহ বিভিন্ন অংশীজন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top