All Menu

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণেই পার্বত্যঞ্চলে শান্তির সুবাতাস বইছে

রাঙ্গামাটি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি পাহাড়ি বাঙালিদের মধ্যে একটা ভুল বুঝাবুঝির প্রাচীর তৈরি করে রেখেছিল। এসব অপগোষ্ঠীর দল খারাপ কাজ ও খারাপ চিন্তার কারণেই ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত এবং পার্বত্য অঞ্চলে তা প্রায় দুই যুগের বেশি সময় ধরে বিরাজমান ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও বদান্যতার কারণেই পার্বত্য চট্টগ্রামে ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণেই পার্বত্যঞ্চলে শান্তির সুবাতাস বইছে। বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রাঙ্গামাটি পৌরসভা মাঠে আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি’র সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বরের সঞ্চালনায় সভায় জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, বৃষ কেতু চাকমা, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ ফিরোজা বেগম চিনুসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিগত সময়ে পার্বত্য এলাকায় ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব কিছু করা হয়েছে। যে সমস্ত কাজ এখনো সমাপ্ত হয়নি তা সমাপ্ত করা হবে। বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন তা ধীরে ধীরে বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আগে আরো অনেকেই সরকার গঠন করেছে, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য এলাকায় চলমান সাম্প্রদায়িক সংঘাত বন্ধ করে শান্তি ফেরাতে পারেনি। বিএনপি-জামাত পাহাড়ের দীর্ঘ দুই দশকের সমস্যা ও ভাতৃঘাতি এই সংঘাত বন্ধ করার কোনো উদ্যোগ না নিয়ে তা জিইয়ে রেখেছিল। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষের কথা ভাবে, দেশের শান্তির কথা ভাবে বলে পার্বত্য অঞ্চলে দীর্ঘদিনের সাম্প্রদায়িক সংঘাত বন্ধ করতে পেরেছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়নের যে ধারা শুরু হয়েছে তা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করাসহ আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার এটাই একমাত্র লক্ষ্য আওয়ামী লীগ সরকারের। অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top