All Menu

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং যুক্তরাজ্য হাইকমিশনার সারাহ কুক।
সোমবার (২২ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রপ্তানি বহুমুখীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাট ও পাটজাত এবং চামড়া ও চামড়া-জাত পণ্য খাতকে এগিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী হস্তশিল্পকে ২০২৪ সালের বর্ষ-পণ্য ঘোষণা করেছেন। এসব খাতে বিনিয়োগের জন্য ইইউ এবং যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানান। পাটজাত ও চামড়া-জাত পণ্যের পাশাপাশি ফার্মাসিউটিক্যাল বিশেষ করে এপিআই খাতে, এগ্রো প্রসেসিং, সি ফুড, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, স্বাস্থ্য, বাই সাইকেল, হিমায়িত খাদ্য, কৃষিপণ্যে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং গুণগতমান উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ এবং বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ট্রেড ও রেগুলেটরি সংক্রান্ত বাধা দূর করে আমদানি ও রপ্তানি পলিসি যুগোপযোগী করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা দেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি এবং বিনিয়োগকারীদের ওয়ান-স্টপ সার্ভিস প্রদান করছে। ২১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবছর মেলায় বাংলাদেশে অবস্থিত সকল মিশনের প্রধানগণ এবং ট্রেড ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের নিয়ে মেলা পরিদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে। দেশে উৎপন্ন পণ্য প্রদর্শনের সবচেয়ে বড় আসর এই মেলা উল্লেখ করে তিনি বলেন এখানে অনেক বিদেশি প্যাভিলিয়নও থাকে। মিশন কর্মকর্তাদের মেলা পরিদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্যের ব্র্যান্ডিং করা সম্ভব হবে বলেও জানান। যে সকল পণ্য ইইউ এবং যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে সেসব পণ্য কন্ট্রাক্ট ম্যান্ফ্যুাকচারিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে উৎপাদনের আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিনিয়োগের উত্তম জায়গা হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। অনেক দেশ বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল ছাড়াও শিল্প কলকারখানা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী। সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আগামী ২৬-২৯ ফেব্রুয়ারি আবুধাবিতে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন আয়োজিত মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশসমূহের অবস্থানের পক্ষে প্রয়োজনীয় সমর্থনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চান। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top