ইয়াকুব নবী ইমন, নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আলোচিত সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় নেতা আবদুল মালেক উকিলের ভ্রাতুষ্পুত্র ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন শিহাব উদ্দিন শাহিন। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস জাহের, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতাউর রহমান নাছের, আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন বাবর, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন চৌধুরী বাহার, আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল হোসেন সোহেল, এনায়েত উল্লাহ, বেলাল হোসেন, মিজানুর রহমান শিপন উপস্থিত ছিলেন।
নোয়াখালী-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা চাকুরি বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য, স্বজনপ্রীতি, বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আতাতসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে একাধিকবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। পরবর্তীতে একরামুল করিম চৌধুরীও ওবায়দুল কাদেরকে রাজাকার পরিবারের সদস্য বলে মন্তব্যসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। ওইসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ হারান একরামুল করিম চৌধুরী। এতে আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বেশিরভাগ নেতাকর্মী একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ আসনে দলীয় প্রার্থীর পরিবর্তন চায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ আবারো এ আসনে একরামুল করিম চৌধুরীকে দলের মনোনয়ন দেওয়ায় দলীয় সভানেত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন শিহাব উদ্দিন শাহিন। শিহাব উদ্দিন শাহিন বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নয়, আমাদের মাতৃতুল্যা নেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেউ যেন বিনা ভোটে নির্বাচিত হতে না পারে এবং নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। এখানে যিনি বর্তমান সংসদ সদস্য তিনি এখানকার স্থানীয় লোক নয়, তিনি বহিরাগত। তাকে মানুষ সুখে-দুঃখে কাছে পায় না। তাই সদর-সুবর্ণচরের মানুষ এখানে পরিবর্তন চায়, তারা তাদের স্থানীয় লোককে ভোট দিয়ে অভিভাবক নির্বাচিত করতে চায়। সেই লক্ষ্যে জনগণের প্রস্তাবনায় তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে আমি আমার দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।