All Menu

নামজারি করে রাখলে মামলা মোকদ্দমা অনেক কমে আসবে

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ওয়ারিশ সম্পদ তথা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত পারিবারিক সম্পদ সবাই বণ্টননামা দলিলের মাধ্যমে নিবন্ধন করে নামজারি করে নিলে দেশে ভূমি বিষয়ক মামলা মোকদ্দমা অনেক কমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। বুধবার (২২ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপি’র মাসিক (অক্টোবর’২৩ পর্যন্ত) পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এই কথা বলেন। সভায় ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল-সহ ভূমি মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাভুক্ত দপ্তর ও সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশে ভাই-ভাই কিংবা ভাই-বোন-সহ বেশিরভাগ পারিবারিক মধ্যে বিরোধের অন্যতম কারণ রেজিস্ট্রিকৃত বণ্টননামা দলিল ছাড়া মৌখিকভাবে কিংবা সাধারণ কাগজে লিখে আপসে সম্পত্তি বণ্টন বা ভাগ করা। পরবর্তীতে সম্পদের মূল্যবৃদ্ধি কিংবা নানা স্বার্থসংশ্লিষ্ট কারণে পারিবারিক আপস ভেঙে যায়। জন্ম নেয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বিরোধ। রেজিস্ট্রিকৃত বণ্টননামার ব্যাপারে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন ভূমিমন্ত্রী। এছাড়া পারিবারিক সম্পদ বণ্টনে বোনের অধিকার রক্ষার বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখার ব্যাপারেও ভূমিমন্ত্রী গুরত্বারোপ করেন। প্রসঙ্গত, একাধিক ওয়ারিশ বা একাধিক ক্রেতার যার যার প্রাপ্য অংশ অনুযায়ী জমি নিজ নিজ নামে আলাদা ভাবে সুনির্দিষ্ট করে দলিলে উল্লেখ করে লিখিত দলিল সম্পাদন করলে তাকে বণ্টননামা তথা বাটোয়ারা দলিল বলে। বণ্টননামা বা বাটোয়ারা দলিল রেজিস্ট্রি করে নিয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে নামজারি করতে হয়। বাটোয়ারা দলিল ওয়ারিশান সম্পত্তি বণ্টনের মৌলিক প্রমাণক। বণ্টননামা দলিলের পর ওয়ারিশান সম্পত্তির নামজারি করাও গুরুত্বপূর্ণ। রেজিস্ট্রিকৃত বণ্টননামা দলিল করে নামজারি করা না থাকলেও ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। এছাড়া সভায় জানানো হয়, ২০২৫ সালের পর ভূমি সেবা ডিজিটাইজেশন সংক্রান্ত সকল সেবাকার্যক্রমকে প্রকল্প মেয়াদান্তে বুঝে নেওয়া এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে মনিটরিং এবং রক্ষণাবেক্ষণ করার উদ্দেশ্যে Automated Land Administration & Management System (ALAMS) কার্যক্রম গ্রহণ করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে এই কার্যক্রমের অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। এই কার্যক্রম অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘সমন্বিত বাজেট ও হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি’ আইবাস (Integrated Budget Accounting System-IBAS) এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের “সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা” জেমস (Government Employee Management System – GEMS) কার্যক্রমের অনুরূপ। অ্যালামস কার্যক্রম পুরোদমে চালু হলে অধিকতর দক্ষতার সাথে ভূমি ব্যবস্থাপনায় তথ্য/উপাত্তভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা, ডিজিটাল সার্ভিস বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ডিজিটাল পদ্ধতি, আইন, বিধি, নীতি ও ম্যানুয়াল হালনাগাদ করে সময়পোযোগী করা, ডিজিটাল ভূমিসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা এবং স্মার্ট ভূমিসেবা সম্পর্কে নাগরিকের জিজ্ঞাসার উপযুক্ত সমাধান প্রদান করা সম্ভব হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top