All Menu

প্রাইভেট সেক্টরকে সাথে নিয়েই সারা দেশে বিডিএস রোল আউট

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, আধুনিক জরিপ কাজে দক্ষ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে কাজ করেই বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ (বিডিএস) সারা দেশে রোল-আউট করা হবে। তিনি বলেন, সরকার মনে করে যৌথভাবে ক্যাডাস্ট্রাল বা ভূমি সম্পদ জরিপ করাটাই জনস্বার্থে সবচেয়ে কার্যকর ও দক্ষ এবং অর্থনৈতিকভাবে যথাযথ হবে। রবিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ভূমি ভবনের সভাকক্ষে সরকারের কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এর আওতাভুক্ত দপ্তর-সংস্থার ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠান পরবর্তী সভায় বক্তব্য প্রদানকালে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এসব কথা বলেন। ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, পটুয়াখালীতে বিডিএস শুরু করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সারা দেশে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে জরিপ শুরু করার পূর্বে যেন ছোটোখাটো ভুলত্রুটির সমাধান বের করে সারা দেশে যতটা সম্ভব ত্রুটিহীন জরিপ কার্যক্রম শুরু করা যায়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর এবং বিডিএস সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সরকারি কর্মকর্তারা এবং জরিপ কাজে সহায়তায় বেসরকারি খাত থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সবাই দায়িত্ব পালনে নিজের সেরাটা দিবেন।
প্রসঙ্গত, ড্রোনসহ অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে সম্পাদিত বিডিএস-এ যেমন সময় কম লাগবে, তেমনি দুর্নীতির সম্ভাবনাও কমবে। ডিজিটাল ম্যাপ প্রস্তুত করার পর খসড়া খতিয়ান প্রস্তুত ও প্রদানের কাজও ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হবে। বিডিএস-এর অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক হল স্মার্ট ম্যাপ, যেখান থেকে ম্যাপে ক্লিক করেই সংশ্লিষ্ট প্লটের মালিকানার তথ্য পাওয়া যাবে। এর আগে এপিএ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভূমি কর্মকর্তাদের নাগরিক সেবার কথার কথা বিবেচনা করে ভূমি সেবায় ক্রমাগত উন্নয়নের ওপর জোর দিতে বলেন। তিনি কর্মকর্তাদের দেশের উন্নয়নে সরকারের পরিকল্পনার সাথে একই ধারায় থেকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যেতে বলেন। এ সময় উপস্থিত দপ্তর-সংস্থা প্রধানদের এপিএ টার্গেট পূরণ করার জন্য প্রয়োজনে ‘টপ-ডাউন’ পদ্ধতিতে ‘আউট-অফ-দ্য-বক্স’-এ এসে কাজ করার পরামর্শ দেন ভূমিমন্ত্রী। ভূমি সচিব এসময় দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুযায়ী কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এপিএ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত দপ্তর/সংস্থার প্রধানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আবু বকর ছিদ্দীক, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল বারিক, ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক মোঃ আরিফ ও হিসাব নিয়ন্ত্রক (রাজস্ব) দপ্তরের হিসাব নিয়ন্ত্রক (রাজস্ব) মোঃ মশিউর রহমান নিজ নিজ দপ্তর-সংস্থার পক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এপিএ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অপরপক্ষে, ভূমি সচিব ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top