ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সকল প্রজন্মের কাছেই অনুকরণীয়-অনুসরণীয় বিশ্বনেতা। তিনি লড়াই, সংগ্রাম ও আদর্শের প্রতীক। বঙ্গবন্ধুর সেই জ্বালাময়ী ৭ মার্চের ভাষণ আজও তরুণ প্রজন্মকে নতুন করে ভাবতে শেখায়। বঙ্গবন্ধু একটি রাজনৈতিক দলকে তিলে তিলে গড়ে তুলে সেই রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে একটি দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। সেই দেশের নাম হচ্ছে বাংলাদেশ।
সোমবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরের কংস নারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘বঙ্গবন্ধু’র অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও আমার দেখা নয়াচীন’ বই বিতরণ এবং বঙ্গবন্ধু চত্বরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন। উপমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নাম বঙ্গবন্ধু আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন। তিনি ছাত্রলীগকে দিয়ে আগেই পতাকা উড়িয়েছিলেন সবুজের বুকে লাল। রবীন্দ্রনাথের ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ জাতীয় সংগীত করার বিষয়ে আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন। উপমন্ত্রী আরও বলেন, কোনও মেজরের হুইসেলে এ দেশ স্বাধীন হয়নি। দেশের ইতিহাস বিকৃতির জনক হচ্ছে বিএনপি। তারাই ইতিহাসের খলনায়ক জিয়াউর রহমানকে বারবার ইতিহাসের নায়ক বানানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলা ম্লোগানকে বিএনপি নিষিদ্ধ করে দেয়, বন্ধ করে দেয় ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার। গণমাধ্যম থেকে পাঠ্যপুস্তক পর্যন্ত সব জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার অপপ্রয়াস চালানো হয়। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে জিয়ার পর খালেদা জিয়াও যুদ্ধাপরাধীদের এমপি-মন্ত্রী করেছেন। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানি গুপ্তচর। জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নানাভাবে পুরস্কৃত করে। জিয়া ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করে। সেদিন সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মধ্য দিয়ে তার আমলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার বাধাগ্রস্ত করা হয়। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করে জিয়া প্রমাণ করেছেন তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রক্ষাকারী এবং এই হত্যার ষড়যন্ত্রের মূল কুশীলব। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম, ইউজিসির পরিচালক ওমর ফারুক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার। এর আগে উপমন্ত্রী বাঞ্ছারামপুরের নদীভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।