ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: ২০০৬ সনের ২৮ অক্টোবর গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার এবং বিএনপি-জামাত জোটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শহীদ রাসেল আহম্মেদ খানের জীবন দান বৃথা যায়নি। এদেশে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম ও ভোটের অধিকারে রাসেল আহম্মেদ খানের চেতনাকে ধারণ করে পথ চলতে হবে। দেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তি সহ সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী নতুন ষড়যন্ত্রে মেতেছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীনদের নানান ব্যর্থতা অপশক্তিকে সুযোগ করে দিচ্ছে। এই অপশক্তি নতুন চেহারায় আরেকটি ‘২৮ অক্টোবর রচনার ষড়যন্ত্র করছে’। এই রকম জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এদেশের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিটি কর্মীকে জনগণের প্রতিদিনের লড়াইয়ে থেকে আত্মপরিচয় বিকশিত করে জনগণের সামনে দাঁড়াতে হবে। সেটিই হবে শহীদ রাসেল প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা। শহীদ রাসেল আহমেদ খান-এর ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিকের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। সভার শুরুতে কমডের শহীদ রাসেল আহমেদ খান-এর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শুক্রবার সকাল-১১টা বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি অফিস চত্বরে আয়োজিত আলোচনায় সভায় বক্তব্য রাখেন পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড নুর আহমদ বকুল, কমরেড কামরূল আহসান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড আবুল হোসাইন, কমরেড সাব্বাহ আলী খান কলিন্স, কমরেড কিশোর রায় প্রমুখ। সভা সঞ্চালন করেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও যুব মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোতাসিম বিল্লাহ সানি। কর্মসূচির শুরুতে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি পক্ষ থেকে শহীদ রাসেল খানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।