ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ ও চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু’ আলোচনা সভা করেছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন এসোসিয়েশন অভ্ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকো। বুধবার রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে এটকো প্রেসিডেন্ট অঞ্জন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন। আমির হোসেন আমু সভায় গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় পাকিস্তানি প্রেতাত্মার সাথে নয়, স্বাধীনতার পক্ষের সাথে থাকুন। কারণ ’৭১-এর রাজাকার, ১৫ আগস্টের খুনিচক্র, ২১ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারী ও পেট্রোলবোমা সন্ত্রাসীরাই সেই পাকিস্তানের অত্যাচারী শাসকদের প্রেতাত্মা। এরা কখনো বাংলাদেশের উন্নয়ন চায়নি এবং চায় না।’ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ’১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড কেবল হত্যাকাণ্ডই নয়, এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন। রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য পৃথিবীর কোথাও গত কয়েক দশকে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। যেখানে ঘটেছে, জাতিগত সংঘাতের কারণে ঘটেছে। অবরোধের নামে মানুষকে ১শ’ দিন ঘরের মধ্যে অবরোধ করে রাখা সেটাও তো মানবাধিকার লঙ্ঘন। জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা নিষ্কণ্ঠক রাখতে যারা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার তাদের পরিবার আজকে ডুকরে ডুকরে কাঁদছে। এটি কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়!’
গণমাধ্যম মানুষকে সঠিক চিন্তা করার ক্ষেত্রে, সমাজকে সঠিকখাতে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে, সমাজকে সঠিক তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে, সার্বিকভাবে দেশ গঠন করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজকে আপনাদেরকে অনুরোধ জানাবো, এই ধারাবাহিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথাগুলো দয়া করে আপনারা উপস্থাপন করবেন।’ সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ড. গোলাম রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরফুদ্দিন আহমেদ, এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনসহ এটকোর পরিচালকবৃন্দ তাদের আলোচনায় বাঙালি, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিতে মতামত তুলে ধরেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।