ইয়াকুব নবী ইমন, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: নোয়াখালীর চাটখিলে বিএনপির ডাকা প্রতিবাদ সভায় তাণ্ডব চালিয়েছে ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মীরা। সভার জন্য বানানো মঞ্চ, চেয়ার ভাঙচুর, নেতাকর্মীদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ করেছে বিএনপি। এ ঘটনায় চাটখিল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু হানিফ ও সদস্য সচিব শাহজাহান রানাসহ অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয় বলে দাবি করেছে বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দুপুর পৌনে ২টার দিকে চাটখিল পৌরসভার চাটখিল আলিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে মঞ্চ ভাংচুরের এ ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডাকা প্রতিবাদ সভা পণ্ড হয়ে যায়। তবে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের তাণ্ডব উপেক্ষা করে বিএনপির কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের নেতৃত্বে চাটখিল বাজারের পূর্ব পাশে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। চাটখিল উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহজাহান রানা বলেন, শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। জুম্মার নামাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আকস্মিক উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের মদদে আমাদের প্রতিবাদ সভার মঞ্চ ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়। তখন আমরা নামাজে ছিলাম। বিএনপির কোনও নেতা-কর্মী সেখানে ছিলেন না। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র হাতে মঞ্চ ভাংচুর ও বিএনপির নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়। বিভিন্ন ইউনিয়নের সরকারি দলের নেতাকর্মীরা আমাদের এ প্রতিবাদ সমাবেশকে বানচাল করতে ওপেন অস্ত্র হাতে মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দেয়। চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ূন কবিরের সামনে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। ওই সময় পুলিশ কোন ভূমিকা রাখেনি। কেন্দ্রীয় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, জ্বালানি তেল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে চাটখিল পৌরসভার এলাকার আলিয়া মাদরাসার সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিকেলের এ সভার জন্য সকাল থেকে প্যান্ডেল ও মঞ্চ বানানো হয়। জুম্মার নামাজের শেষ হওয়ার সাথে সাথে হঠাৎ অস্ত্রধারী উপজেলা ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মী এসে হামলা চালিয়ে মঞ্চ, চেয়ার ও ভাঙচুর করেন। এ সময় পুলিশ নিরব ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। প্রতিবাদ সভায় আসার পথে বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে আমাদের ৩০জন নেতাকর্মীকে আহত করা হয়। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ সভাস্থল ঘিরে রাখায় আমরা প্রতিবাদ সভা করতে পারিনি। নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, গত তিন দিন ধরে নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপি প্রতিবাদ সভা করেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপির প্রতিবাদ সভা পণ্ড করার কোন নির্দেশনা নেই। তবে চাটখিল উপজেলা বিএনপির মধ্যে দুটি গ্রুপ রয়েছে। তারা নিজেদের মধ্যে কোন্দলের কারণে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবাদ সভাস্থলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের কোনও নেতা-কর্মী হামলা করেনি বলে তিনি দাবি করেন। বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিনের খোকনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.গিয়াস উদ্দিন বলেন, এ রকম কোন ঘটনা ঘটেনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।