All Menu

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সংগৃহীত চিত্র।

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে বুধবার সচিবালয়স্থ তাঁর অফিস কক্ষে জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট Keiichiro Nakazawa সাক্ষাৎ করেন। এসময় পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। জাইকার ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে কাজ করতে পারার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, অবকাঠামো নির্মাণে জাইকা আরো অবদান রাখতে পারে। ২০৪১ সালের লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সাথে শিল্পের বৈচিত্র্যময়তা বাড়ানো প্রয়োজন। মধ্যম আয়ের দেশের জন্য নগরায়ন একটি চ্যালেঞ্জ। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যাওয়াও বেশ কঠিন। জলবায়ু পরিবর্তন সাপেক্ষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মসৃণ রূপান্তর (Smooth Transition), মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কাযর্ক্রম এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি এই তিনটি খাতে জাইকা আরো অবদান রাখতে চায়। কয়েকটি বেসরকারি জাপানিজ কোম্পানি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে জাইকার অবদান স্মরণ করে বলেন, জাপান বাংলাদেশের পরিক্ষিত বন্ধু। ২০৪১ সালের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে জাপানের আরো সহযোগিতা চাই। সমন্বিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনায় প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর বিষয়টি থাকতে পারে। জ্বালানির রূপান্তর প্রক্রিয়ায় যথাযথ প্রযুক্তির সন্নিবেশ করা যেতে পারলে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পাওয়া যাবে। সাশ্রয়ী মূল্য নির্ধারণ এবং নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেল সরবরাহের চ্যালেঞ্জের সমাধানে এই মহাপরিকল্পনা থাকা উচিত।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় সক্ষমতা বৃদ্ধির আওতায় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে জাইকার ভাইস প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেন। এসময় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন ও বাংলাদেশের জাইকার প্রধান প্রতিনিধি Yuho Hayakawa উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top