নৈরাজ্য ও অনিশ্চয়তার অবসান ঘটবে বলে দেশবাসী আশা করে

প্রকাশিত : আগস্ট ১১, ২০২৪ , ৮:১৭ অপরাহ্ণ

ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: রবিবার (১১ আগস্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বলা হয়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রত্যাশিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। বিগত সরকারের শাসন অবসানের পর দেশে যে নৈরাজ্য ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে এই সরকার গঠনের মধ্যদিয়ে তার অবসান ঘটবে বলে দেশবাসী আশা করে। কিন্তু, সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, গত কয়েকদিনে বিশেষ করে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর আক্রমণ, তাদের উপাসনালয় ভাংচুর, জমি-জিরাত-বাসাবাড়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ রাজনৈতিক দল সমূহের অফিস ভাংচুর দখল, আন্দোলন চলাকালীন সময়ের মত প্রায় সমপরিমাণ-মানুষের মৃত্যু, পুলিশ হত্যা, থানা লুট ও অগ্নিসংযোগ, কারাগার ভেঙ্গে বন্দীদের পলায়নসহ ঘটনাবলী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিজয়ের চিত্রকেই ম্লান করে দিয়েছে। বৈঠকে আরো বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের স্মারক স্থাপনাসমূহ যথা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু মিউজিয়ামে অগ্নিসংযোগ, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও মূর‍্যালের ধ্বংস সাধন, মুজিবনগরের স্মৃতিসৌধে ধ্বংস সাধন, বীরশ্রেষ্ঠদের ভাস্কর্য বিনষ্ট করা, মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করার দিককেই নির্দেশ করে এবং অতীতের পুনরাবৃত্তির কথাকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। সভায় বলা হয়, এ সকল কার্যক্রম ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষিত চেতনার সাথে সংগতিপূর্ণ নয়। ওয়ার্কার্স পার্টির সভায় দৃঢ়ভাবে দাবী করা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার এসব ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের মূল প্রতিশ্রুতি পালনে তার প্রতিশ্রুত ভূমিকা রাখবে। ওয়ার্কার্স পার্টির সভায় আশা প্রকাশ করা হয় অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, মানবিক, বহুত্ববাদী সমাজ গঠন, বিশেষ করে সকল প্রকার বৈষম্য দূর করে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমাজে দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ-পাচার, বাজার সিন্ডিকেটের অনাচার রোধ করতে আন্দোলন-কালীন সময়ের মতই দৃঢ় ভূমিকা রাখবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।

[wps_visitor_counter]