মাত্র ৬ মাসেই শেষ হবে শতাধিক রাস্তার সংস্কার কাজ

প্রকাশিত : জুলাই ৬, ২০২৪ , ১০:২৯ অপরাহ্ণ

মো. খসরু চৌধুরী, সংগৃহীত চিত্র।

ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি। সেই হিসাবে ৭ জুলাই ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য হিসাবে মো. খসরু চৌধুরীর ৬ মাস পূর্ণ হবে। এলাকার উন্নয়নে এই ৬ মাসে ব্যাপক কর্ম তৎপরতা চালিয়েছেন তিনি। ভাঙাচোরা রাস্তার সংস্কারে পর্যাপ্ত বরাদ্দ চেয়ে ও ঢাকা-১৮ আসনের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফের দাবিতে সংসদে একাধিকবার বক্তব্য দিয়েছেন। দ্রুত রাস্তা মেরামতে বরাদ্দ পাস করাতে দৌড়-ঝাঁপ করেছেন সচিবালয় ও নগর ভবনে। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর শুরু করেছেন শতাধিক রাস্তার কাজ। যা শেষ হবে ২০২৪ সালের মধ্যে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে খসরু চৌধুরী ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি নির্বাচিত হলে তার প্রথম কাজ হবে সর্বাধিক অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয়-পূর্বক স্বল্পতম সময়ের মধ্যে টেকসই পরিবর্তন নিশ্চিত করা। এ কাজে তিনি সফল হয়েছেন। এমপি নির্বাচিত হয়েই খসরু চৌধুরী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে সমন্বয় করে উন্নয়ন কাজ শুরু করেছেন। বর্তমান ঢাকা-১৮ আসনে ১০০টিরও অধিক রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে কথা বলে নতুন নতুন আরও কিছু উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করার চেষ্টা করছেন। উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলাকায় গ্যাস সংকট চরমে। খসরু চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরে গ্যাস পাইপ লাইন সংস্কারের মাধ্যমে গ্যাস সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেছেন। ঢাকা-১৮ আসনকে সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজ-মুক্ত করতে কাজ করছেন তিনি। তিনি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। ঢাকা-১৮ আসনের বিভিন্ন-স্পটকে চাঁদা-মুক্ত করেছেন। অটো-লেগুনার চাঁদা বন্ধ করেছেন। যানবাহন থেকে সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ করা হয়েছে। যারা এসব অবৈধ কাজে জড়িত ছিলো, দল-মত-নির্বিশেষে তাদের সকলের বিরুদ্ধেই জিরো টলারেন্স দেখিয়ে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। জাতীয় সংসদে দেওয়া প্রতিটি বক্তব্যে খসরু চৌধুরী অবহেলিত ঢাকা-১৮ আসনের উন্নয়নে পর্যাপ্ত বরাদ্দ চেয়েছেন। মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ-মুক্ত ঢাকা-১৮ আসন গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ঢাকা-১৮ আসনের নাগরিকদের কর ও হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করার বিষয়ে একাধিকবার মাননীয় স্পিকার, অর্থমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। “সম্প্রতি জাতীয় সংসদে মোঃ খসরু চৌধুরী (১৯১ ঢাকা-১৮): স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (স্থানীয় সরকার বিভাগ) মন্ত্রীর কাছে ঢাকা-১৮ আসনের রাস্তাগুলোর কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে সেটি জানতে চেয়েছিলেন। উত্তরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঢাকা-১৮ আসনের ইউনিয়ন হতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে সংযুক্ত ওয়ার্ডসমূহের (ওয়ার্ড নং-৪৪, ৪৫, ৪৬, ৫১, ৫২, ৫৩ ও ৫৪) “নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত ১৮ (আঠারো)টি ওয়ার্ড উন্নয়ন” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইসিবি কর্তৃক রাস্তা উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। উক্ত কাজগুলো আগামী নভেম্বর ২০২৪ এর মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-৭ এ সংযুক্ত ওয়ার্ডসমূহ (ওয়ার্ড নং- ৪৭, ৪৮, ৪৯ ও ৫০) এর ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাসমূহ উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়ন কাজ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।” মো. খসরু চৌধুরী এমপির ছয় মাসের কার্যক্রম মূল্যায়ন করতে গিয়ে বৃহত্তর উত্তরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উত্তরখান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মিলন বলেন, বিগত বছর গুলোতে ঢাকা-১৮ আসন ছিলো উন্নয়ন বঞ্চিত। তবে খসরু চৌধুরী ঢাকা-১৮ আসনের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে নিরলস-ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আশাকরি তিনি সফল হবেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী সালাউদ্দিন পিন্টু বলেন, এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে খসরু চৌধুরী যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি তা বাস্তবায়ন করতে কাজ করছেন। তিনি ৫ বছর তথা ৬০ মাসের জন্য এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। মাত্র ৬ মাস অতিবাহিত হয়েছে সামনে রয়েছে ৫৪ মাস। তিনি আগে এমপি না হয়েও মানুষের জন্য কাজ করেছেন। এখন এমপি হয়ে দিনের পুরোটা সময়ই মানুষের জন্য কাজ করছেন। তিনি যে ইশতেহার দিয়েছেন তা শতভাগ বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।

[wps_visitor_counter]