যশোরের ভবদহ ও তৎসংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দিয়ে পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, এখানকার আমডাঙ্গা খালের প্রবাহ বাড়াতে হবে। ভবদহ এলাকার হরি নদী, ভৈরব নদ ও মুক্তেশ্বরী নদীর ড্রেজিং করে প্রবাহ বাড়াতে হবে। বেশির ভাগ মানুষ বলছে টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) হচ্ছে সমাধান। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও এখনো টিআরএম বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিষয়গুলো আরো জটিল হয়ে গেছে।
যশোরের ভবদহ ও তৎসংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা সরেজমিনে পরিদর্শনে এসে উপদেষ্টা রবিবার (১০নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) এসব কথা বলেন। রিজওয়ানা হাসান আজ ভবদহ ও তৎসংলগ্ন বিল এলাকার আমডাঙ্গা খাল এলাকা, সুন্দলী ধামের মোড় ও কলেজ এলাকা, কপালিয়া ব্রিজ ও ২১ ভেন্ট রেগুলেটর পরিদর্শন করেন। তিনি স্থানীয় মানুষজনের কথা শোনেন ও ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দেন।
উপদেষ্টা আরো বলেন, আপনাদের এখানে কিস্তির টাকা আদায় যাতে এখন জোর দেওয়া না হয় বা এখন স্থগিত রাখা হয় বা বিলম্ব করা হয়, পরে আস্তে আস্তে আদায় করা হয় এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপদেষ্টা বলেন, রাতারাতি পানি সরানো সম্ভব নয়, তবে যত দ্রুত সম্ভব ভবদহ বিল এবং তৎসংলগ্ন এলাকার পানি সরানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ১০ টা খননযন্ত্র পাঠানো হয়েছে। উপদেষ্টা নিজে এসে তা দেখে গেলেন। এসময় ভবদহ এলাকার হরি নদীতে চলমান খনন কাজ মনিটরিং করতে তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।
উপদেষ্টা আরো বলেন, আপনারা যে গতিতে চান কাজটা হয়তো সে গতিতে হচ্ছে না, কাজের মধ্যে গতি সঞ্চার করার জন্যই আমি এখানে এসেছি। কপালিয়া ব্রিজ সংলগ্ন হরি নদীতে খনন কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কিনা একথা বলে উপদেষ্টা বলেন প্রয়োজনে কাজটি দেখতে আমি আবারও এখানে আসবো। এবার যেন আমরা স্থায়ী সমাধানের দিকে যাই সেটাই হবে আমাদের উদ্দেশ্য একথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন প্রয়োজনে আমাদের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সবার সাথে বসবো। আমার কাছে দশ হাজার মানুষের চাইতে দশ লক্ষ মানুষের জীবন-জীবিকার গুরুত্ব অনেক বেশি এবং অবশ্যই একাজটা আমাদের করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভুইয়া, পানি উন্নয়ন বোর্ড দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা, যশোরের জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম, যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী, এবং জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।