পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান বলেছেন, শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মহারশি, ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর তীর আগামী শুকনা মৌসুমের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেরামত করাসহ বন্যা মোকাবিলায় স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নির্দেশে সচিব শনিবার (১৯অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের রামেরকুড়া, ব্রিজপাড়া, নালিতাবাড়ী উপজেলার উত্তর গড়কান্দা গ্রাম, কুলপাড়া, নিচপাড়া গ্রামের মন্দির ও শ্মশান ঘাট এলাকা এবং বাঘবেড় ইউনিয়নের চেল্লাখালী বাজার হতে সন্ন্যাসীভিটা গ্রামের নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসমূহ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পানি সম্পদ সচিব বলেন, টেকনিক্যাল টিম নিয়ে এসেছি, এ টিমের প্রকৌশলীদের প্রতিবেদনের আলোকে এ এলাকার নদী ভাঙন রোধে তাৎক্ষণিক ও স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং বন্যা হতে নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতীকে রক্ষা করতে ভোগাই, চেল্লাখালী ও মহারশি নদীর তীরের যেসকল অংশ ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
সেসকল স্থানে জিও ব্যাগ ও বালি-সিমেন্ট মিক্স ব্যাগ প্লেসিং করাসহ নদীর মধ্যে জমে থাকা চর ও পলিমাটি অপসারণের কাজ দ্রুত শুরু করতে সচিব পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এনায়েত উল্লাহ, ঢাকা জোনের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আসাদুজ্জামান, শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ড টাংগাইল সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী নকিবুজ্জামান খানসহ স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।