All Menu

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি তৈরি করে দিবে সরকার

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক বলেছেন, শেরপুর জেলায় ভয়াবহ বন্যায় যে সমস্ত মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছে, সরকার তাদের ঘরবাড়ি তৈরি করে দিবে এবং বন্যা মোকাবিলায় স্থায়ী বাধ নির্মাণ করা হবে। শুক্রবার (১৮অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর ইউনিয়নের রামেরকুড়া, ব্রিজপাড়া ও নলকুড়া ইউনিয়নের শালচূড়া গ্রামের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন উপদেষ্টা।

ত্রাণ উপদেষ্টা বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে শেরপুর-সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। এতে জানমালের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন থেকে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ বিবরণ সরকারের নিকট পাঠানো হয়েছে। পুনর্বাসন কার্যক্রম জোরদার করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করা যায়, বন্যায় যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে পুনর্বাসন করা সম্ভব হবে।

মহারশি নদীতে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণে একমত পোষণ করে উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীরা বিষয়টি দেখবেন। তবে জনদুর্ভাগ ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে মহারশি নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব ততটুকু করা হবে। উপদেষ্টা পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঝিনাইগাতী উপজেলার ৪৫টি পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী এবং ৫০টি পরিবারের মধ্যে ১০০ বান্ডিল ঢেউটিন ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।

এ সময় শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান-সহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে উপদেষ্টা ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস মিলনায়তনে জেলার বন্যা পরিস্থিতি ও পুনর্বাসন কার্যক্রম নিয়ে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top