All Menu

ফকির লালন শাহ ছিলেন বৈষম্যবিরোধী

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা মিজ ফরিদা আখতার ফকির লালন শাহকে বৈষম্যবিরোধী উল্লেখ করে বলেছেন, লালন ১৩৪ বছর আগেই সকল বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলে গেছেন। ঐ সময়ই তিনি ‘জাত গেল জাত গেল বলে, এ কি আজব কারখানা’ এবং ‘সব লোকে কই লালন কি জাত সংসারে’ গান গেয়েছেন।

উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার (১৭অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ছেউড়িয়ার লালন আখড়াতে মরমী সাধক বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ এঁর ১৩৪তম তিরোধান দিবসে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মিজ ফরিদা বলেছেন, ফকির লালন সম্রাট ছিলেন না, তিনি ছিলেন সাধক। তাঁর বাণী সমাজের সকল ক্ষেত্রে বিদ্যমান। আমরা যদি লালনকে ভালবাসি-তাহলে নারীর ওপর অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন করতে পারি না। কৃষিকাজে বিষ দিয়ে, নদীতে বিষ দিয়ে মাছ মারতে পারি না। উপদেষ্টা লালন একাডেমির প্রতি লালন শাহের সকল বাণী সংরক্ষণ ও গবেষণার করারও দাবি জানান।

কুষ্টিয়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শারমিন আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন গেস্ট অব অনার সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, বিশিষ্ট কবি, দার্শনিক, মানবাধিকার কর্মী ফরহাদ মজহার, সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, পুলিশ সুপার মো: মিজানুর রহমান। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: রশিদুজ্জামান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top