সারাদেশে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদ্যাপিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন, নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। উপদেষ্টা বলেন, সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অত্যন্ত আনন্দ উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে এবারের পূজা উদ্যাপিত হচ্ছে। সরকার সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। পুলিশ আনসারের পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
উপদেষ্টা শনিবার (১২অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওসমানী হল খেলার মাঠ সংলগ্ন পূজামণ্ডপ, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পূজা মন্ডপ, বিজি প্রেস পূজামণ্ডপ-সহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেন। দুর্গাপূজার আনন্দকে আরো বেশি আনন্দময় ও উৎসবমুখর করতে বর্তমান সরকার প্রথমবারের মতো ছুটি বৃদ্ধি করেছে বলে জানান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি এবারের মতো আগামীতেও ছুটি বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে কোনো ধর্মীয় বিভাজন নেই উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ছোট্ট একটি দেশ।
আবহমানকাল ধরে আমরা সকলে ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে মিলেমিশে বসবাস করে আসছি। ছোটবেলার পূজার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, পূজার সময়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে বিভিন্ন উৎসবে আনন্দ উদ্যাপন ছিল উৎসবমুখর কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য সাম্প্রতিক সময়ে দুর্গা উৎসব উদ্যাপন নিয়ে রাজনৈতিক কারণে গুজব বা আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার এবার দুর্গোৎসবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানের ব্যবস্থা করেছে, যাতে কেউই এখানে নাশকতা করার সাহস না পায়। তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নির্বিঘ্নে দুর্গোৎসব উদ্যাপনের আহ্বান জানান।
৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভূথ্যানের পর কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে মর্মে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, তবে সেটি শুধু হিন্দু ধর্মালম্বীদের উপরই নয়, মুসলমানদেরও বাড়ি ঘর ভেঙেছে। আসলে একটি অস্বাভাবিক ঘটনার প্রেক্ষিতেই এটি ঘটেছে। বিগত স্বৈরাচার সরকার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় প্রায় শত শত মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছে। কে মুসলমান কে হিন্দু সেটি বিবেচনা করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন ,বাংলাদেশ যেন কখনোই কেউ ধর্মীয় চর্চা বা ধর্মীয় স্বাধীনতায় বাধা দিতে না পারে এবং যারা এই কাজটি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশের সকল ধর্ম-গোত্র-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার তথা নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান তিনি। পরিদর্শনকালে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিসহ স্থানীয় সনাতন ধর্মের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।