পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে দেশের সকল মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন এবং সমান অধিকার সুনিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, জ্ঞানেশ্রি ভান্তে, বড়ুয়া ভান্তে, মারমা ভান্তে সকলেই আমাদের আলোকিত করেছেন।
ভান্তেরা বিনয়ের সাথে চলেন। কখনো তাদের বিনয় ভঙ্গ করা হয় না। মানুষের মাঝে সহিংসতা ও মারামারি কখনো কাম্য হতে পারে না। শুক্রবার (১১ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) চট্টগ্রাম সদরের কাতালগঞ্জ এলাকায় কিশলয় কনভেনশন হলে বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু আয়োজিত নব কমিটির অভিষেক ও জাতীয় বৌদ্ধ মহাসম্মেলন ২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, গুজব ও উস্কানিতে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সহিংসতা হয়ে গেল যা দুঃখজনক। আমি নিজে সেখানে গিয়েছি, সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সরকারি সহযোগিতা বিতরণ করা হয়েছে এবং এলাকার উদ্ভূত পরিস্থিতি শান্ত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
বৌদ্ধ ভিক্ষুরা উপদেষ্টার মাধ্যমে সরকারের কাছে ৮টি দাবি তুলে ধরেন।
এর মধ্যে প্রবারণা পূর্ণিমায় ১ দিন সরকারি ছুটি, বৌদ্ধ সরকারি চাকরিজীবীদের তীর্থ ভ্রমণ ছুটি, প্রত্যেক বিহারে বিদ্যুৎ বিল মওকুফ, ভিক্ষু প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জন্য চট্টগ্রামে সরকারি জমি বরাদ্দ দান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
উপদেষ্টা দাবির বিষয়গুলো সরকারের নজরে আনা হবে বলে জানান। তিনি বলেন, প্রবারণা, কঠিন চীবর দান বাংলাদেশে অবশ্যই হবে।
অভিষেক ও জাতীয় বৌদ্ধ মহাসম্মেলন সভার সভাপতি অগগমহাপন্ডিত অধ্যাপক বনশ্রী মহাথের-এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কঙ্কন চাকমা, মহাসম্মেলনে নবনির্বাচিত মহাসচিব প্রজ্ঞাবারিধি অধ্যাপক সুমেধানন্দ মহাথের, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার উপ সংঘ নায়ক সদ্ধর্মরশ্মি রতনশ্রী মহাথের-সহ বিভিন্ন এলাকার ভান্তে ও সুধিজনরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।