ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম বলেছেন, নির্বিঘ্নে দূর্গাপূজা উদ্যাপনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজা। এ পূজা নির্বিঘ্নে আয়োজন করতে সরকার সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ভবিষ্যতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা আরো আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদ্যাপন করতে পারবেন।
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) ঢাকার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিভিন্ন ভাবে নির্যাতিত হয়েছে। তাদের ওপর হামলা করে তাদের সম্পদ লুট করা হয়েছে। তারা কোনো বিচার পায়নি। কারণ যারা বিচার করবে তারাই এ হামলার সাথে জড়িত ছিল। ক্ষমতায় যারা থাকে তারা যদি কোনো জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারে তাহলে তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই।
তিনি আরো বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর অনাকাঙ্খিতভাবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর যে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে তার সাথে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ চলছে। এ ধরনের ঘটনাকে কঠিনতম বিচারের আওতায় এনে যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করা যায় তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে। যার যা প্রাপ্য তাকে তা ফিরিয়ে দিতে কাজ করছে সরকার। আপনাদের সহযোগিতায় দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখা সম্ভব। আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে, মন্দির ভেঙে, প্রতিমা ভেঙ্গে যারা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চায় তাদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এসব বিষয় সরকার খুব সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছে।
উল্লেখ্য, উপদেষ্টা সূত্রাপুরে শ্রী শ্রী যুত মদন গোপাল জিউ বিগ্রহ ঠাকুর মন্দির, ওয়ারীতে শঙ্খনীধি মন্দির, টিকাটুলিতে সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজ প্রাঙ্গণে ইয়ং স্টার্টস পূজা কমিটি আয়োজিত পূজা মন্ডপ এবং বংশালে শ্রী শ্রী সর্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি আয়োজিত হরিজন পল্লীতে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।