All Menu

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবা কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে প্রচারণার উদ্যোগ নিতে হবে

এলজিআরডি ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবা কার্যক্রম আরো স্বচ্ছ, গতিশীল ও সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে একটি শক্তিশালী গবেষণা সেল গঠনের মাধ্যমে কীভাবে কাঙ্ক্ষিত নাগরিক সেবা বাড়ানো যায়, সে ব্যাপারে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশনা দেন।
উপদেষ্টা রবিবার (০৬ অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ)রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মিলনায়তনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, আনবে দেশে সুশাসন’। প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ যাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মোঃ মাহমুদুল হোসাইন খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, ইউনিসেফ বাংলাদেশের উপ-প্রতিনিধি দীপিকা শর্মা ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আবু নছর মোহম্মদ আবদুল্লাহ। উপদেষ্টা বলেন, গ্রামের চেয়ে শহরে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের হার বেশি। কারণ শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে কর্মরত জনবলের ঘাটতি রয়েছে। জনবলের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, দেশের হাসপাতালগুলোতে প্রায় ৬০ শতাংশ শিশুর জন্ম হয়। এজন্য হাসপাতালগুলোতে জন্মনিবন্ধনে ব্যক্তিগত ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধার কথা প্রচারের উদ্যোগ নিতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। তৃতীয় লিঙ্গ ও সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর শিশুরাও জন্মনিবন্ধন সেবা থেকে যাতে বঞ্চিত না হয়, সেজন্য নিবন্ধন দপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সদা সজাগ থাকতে হবে।
উপদেষ্টা পরে মাঠ পর্যায়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কাজে অনন্য অবদানের জন্য নিয়োজিত সফল ২১টি প্রতিষ্ঠান ও ৩ জন কর্মকর্তাকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top