আশিষ চৌধুরী, বিশেষ প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ভবনের নকশা অনুমোদনে খালি জায়গায় গাছ লাগানোর শর্ত যুক্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন । বাড়ি করার জন্য রাজউক যে সকল শর্তের ভিত্তিতে নকশা অনুমোদন দেয়, সেখানে একটি শর্ত হবে বাড়ির অবশিষ্ট জায়গায় গাছ লাগাতে হবে, অন্তত ফুলের বাগান হলেও করতে হবে, তাতে বনায়নের কিছুটা হলেও কাজ হবে।
মন্ত্রী সোমবার (৮ জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) পূর্বাচলের ১ নম্বর সেক্টরের ম্যাকানিক্যাল স্ট্যাকইয়ার্ডে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ নির্দেশনা দেন।
‘বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ৮ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ উদ্যাপন করা হবে। এ বছর ৫ লাখ গাছ লাগানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবার সহযোগিতা কামনা করছে। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা হচ্ছে, গাছ লাগানোকে সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তর করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বাংলাদেশে অনেক গাছ লাগানো হয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থার মালিকানা/নিয়ন্ত্রণে যেসব জমি রয়েছে, তার খালি অংশে বৃক্ষরোপণ করা হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, পূর্বাচলে বাড়ি বানানোর ক্ষেত্রে অন্তত ২০ শতাংশ জায়গায় ফলদ, বনজ এবং ঔষধি গাছ রোপণ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ঘরের বারান্দায়, ছাদে ও বাড়ির আঙিনায় নিজেদের খাওয়ার উপযোগী শাক-সবজি, কাঁচামরিচ বা এ ধরনের অনেক কিছু আবাদ করা যায়। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ড. মো: ছিদ্দিকুর রহমান সরকার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো: শামীম আখতার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী ও সচিব ম্যাকানিক্যাল স্ট্যাকইয়ার্ড চত্বরে একটি করে নারিকেল গাছের চারা রোপণ করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।