ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবা খাতের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করার জন্য সাউথ-ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একসাথে কাজ করে যৌথ-দক্ষতা, সম্পদ ও সর্বোত্তম অনুশীলন কাজে লাগাতে পারি। তথ্য আদান-প্রদান, সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং পারস্পরিক সহায়তার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাকে উন্নত করতে পারি এবং স্বাস্থ্যসেবার আসন্ন হুমকির ওপর নজরদারী ও সাড়া দেওয়ার ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে পারি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্ক (SEARN) হল WHO এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলির জাতীয় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বুধবার (৩ জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সাউথ-ইস্ট এশিয়া রেগুলেটরি নেটওয়ার্কের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের বার্ষিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সদস্য রাষ্ট্রসমূহের একত্রিত হয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং আমাদের অঞ্চলে ওষুধের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করার জন্য এই সমাবেশ একটি মূল্যবান সুযোগ। আমরা সবাই জানি, ওষুধের নিরাপত্তা, কার্যকারিতা এবং গুণমান নিশ্চিত করা আমাদের জনসংখ্যার স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রচেষ্টায় আমরা যে সাধারণ চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হই, তার মধ্যে রয়েছে নিম্নমানের ওষুধের অব্যাহত ঝুঁকি, অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণু বৃদ্ধি এবং আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনায় নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো । ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ এর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আহমেদুল কবীর। সদস্য দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং তিমুর-লেস্তে এর প্রতিনিধিবৃন্দ ও পর্যবেক্ষকবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।