ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান বলেছেন, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য সেক্টরের উন্নয়ন ছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব নয়। লাইভ-স্টকের উন্নয়ন ও গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য সঠিক নীতি প্রণয়ন খুবই জরুরি এবং এর একটি আইনগত ভিত্তিও থাকা দরকার। তিনি আরও বলেন, লাইভ-স্টক সেক্টর দেহের শুধু পুষ্টিই যোগায় না বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও বড় ভূমিকা রাখছে। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ প্রাণিসম্পদ খাতের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল। শনিবার (০৮ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) ঢাকার এক হোটেলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের লাইভ-স্টক ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এবং ফুড এন্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (এফএও) এর আয়োজনে ‘ফুট এন্ড মাউথ ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড পিপিআর ইরাডিকেশন স্ট্রাটেজিস, অ্যানিমেল ব্রীডিং এন্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্সেমিনেশন পলিসি, পোল্ট্রি হ্যাচারী অ্যাক্ট, লাইভ-স্টক এক্সটেনশন পলিসি এন্ড ম্যানুয়াল’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, জাতীয় জীবনে ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রেও লাইভ-স্টক একটা বড় উপাদান। দারিদ্র্যতা দূর করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃপ্ত কণ্ঠে যে লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছেন লাইভ-স্টক ও মৎস্য সেক্টরকে বাদ দিয়ে তা অর্জন করা যাবে না। তবে সে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে একটা সঠিক পলিসি নির্ধারণের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক এবং জাতিসংঘের ফুড এন্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (এফএও) বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে পলিসি নির্ধারণে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর এবং এফএও রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাড ইন্টেরিম অব বাংলাদেশ মিস্টার দিয়া সানো বক্তৃতা রাখেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।