All Menu

ধূমপান ও মাদক রোধে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ প্রয়োজন

আশিষ চৌধুরী, বিশেষ প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার মোঃ শামসুল হক টুকু এমপি বলেন, ধূমপান ও মাদক-রোধে আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে মানবসম্পদ রক্ষায় বিদ্যমান আইনের প্রয়োগ ও জনসচেতনতা সবচেয়ে বেশি জরুরী। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধূমপান ও মাদক-রোধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার (২৩ মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবে আয়োজিত “সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী: বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পীকার এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় সংসদ সদস্য ড. শ্রী বীরেন শিকদার,উম্মে কুলসুল স্মৃতি, মোঃ আব্দুল আজিজ, মোঃ তৌহিদুজ্জামান, এবং আরমা দত্ত অংশগ্রহণ করেন। ডেপুটি স্পীকার বলেন, ধূমপান একজন মানুষের মৃত্যুর কারণ। অর্থনৈতিক ক্ষতি, সামাজিক অবক্ষয় ও অন্যান্য ক্ষতিকে ছাপিয়ে এটি মানবসম্পদ ধ্বংসকারী একটি ব্যাধি। অংশী-জনদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতেই হবে। তিনি আরও বলেন, তামাক উৎপাদনকারীদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি করার মত সক্ষমতা সরকারের রয়েছে। আর এ খাত থেকে যে রাজস্ব আয় হয় তার তুলনায় তামাক ব্যবহারকারীদের পেছনে স্বাস্থ্য খাতে সরকারের ব্যয় অনেক বেশি। মোঃ শামসুল হক টুকু বলেন, আইনের প্রয়োগ, পারিবারিক সচেতনতা ও ধর্মীয় অনুশাসন তামাকজাত দ্রব্য ও মাদকের বিস্তার রোধ করতে পারে। এর সাথে সাথে সকল রাজনৈতিক দলকে মাদকের বিরুদ্ধে একই প্লাটফর্মে আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাদক-মুক্ত, অপরাধ-মুক্ত ও দারিদ্রমুক্ত, সুখী-স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে আওয়ামী লীগের সাথে সাথে অন্যান্য সকল রাজনৈতিক দলের মাদকের বিরুদ্ধে একমত হওয়া অত্যন্ত জরুরী। সাবেক সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যম-কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top