ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতার এই মাসেও আমরা দেখছি আবারো পানি ঘোলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভারত সরকার, ভারতবাসী মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদেরকে যেভাবে সহায়তা করেছে; আমরা যদি সেটা ভুলে যাই, তাহলে আমরা কী ধরনের মানুষ হলাম। এক কোটি মানুষ ভারতের শরণার্থী শিবিরে স্থান পেয়েছিল। তারা তাদের খাইয়েছে, পড়িয়েছে, শিক্ষা দিয়েছে, চিকিৎসা দিয়েছে, ট্রেনিং দিয়েছে, অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে। সম্মিলিত মিত্রবাহিনী হিসেবে তারা সরাসরি অপারেশনে গেছেন। ১৭ হাজার ভারতীয় সৈন্য এ মাটিতে ঘুমিয়ে আছে। হানাদার বাহিনীর হাত থেকে আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য তারা যে অবদান রেখেছে- এটা কি আমরা ভুলে যাব! আর আজকে এই দেশ থেকে ইন্ডিয়া আউট, ভারত আউট কর্মসূচি দেয়া হচ্ছে এটা খুবই দুঃখজনক। যারা ভারত বিরোধী স্লোগান দিচ্ছে, ইন্ডিয়া আউট বলছে- তারা আজকে বাংলাদেশের জনগণ থেকে আউট হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বুধবার (২৭ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) রাজধানীর বিআইডব্লিউটিএ ভবনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অভ্ বাংলাদেশ এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ মোঃ শরীফ উদ্দিন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই দেশটাকে স্বাধীন করেছিলেন। এই স্বাধীনতার জন্য অনেকেই সংগ্রাম করেছেন। কারো কথায় স্বাধীনতা আসেনি। এই বাংলার সম্পদ দিয়ে লন্ডন শহর তৈরি করা হয়েছে, এই বাংলার সম্পদ দিয়ে কলকাতা শহর তৈরি করা হয়েছে। এই বাংলার সম্পদ দিয়ে ইসলামাবাদ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এই দেশের মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। বঙ্গবন্ধু সেটা জানতেন এবং সেই পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। আমার সম্পদ দিয়ে আমার অধিকার তিনি প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। দেশের সম্পদ যারা লুণ্ঠন করেছিলেন, এই লুণ্ঠনকারীরা এদেশকে বাংলার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে দিতে চাইবে না। বঙ্গবন্ধু সেটি করেছিলেন। বাংলাদেশ কারো একার দেশ না। এই দেশ ১৬ কোটি মানুষের দেশ। আজকে পদ্মা সেতু আমাদের একটি মর্যাদার জায়গা। দেশের বাইরে থেকে সরকারপ্রধান, রাষ্ট্রপ্রধান যারা আসেন তারাই পদ্মা সেতু দেখতে চান। ভুটানের রাজা গিয়েছেন পদ্মা সেতু দেখতে। কী বানিয়েছে- বাংলাদেশ এটা দেখতে। শেখ হাসিনা কী উন্নয়ন করেছে এটা সমগ্র পৃথিবী জানতে চায়। এটি আমাদের জন্য বড় একটি অহংকারের বিষয়। যে অহংকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে তৈরি হয়েছিল। আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের হিমালয়ের কাছে নিয়ে গেছেন-এটা আমাদের বড় প্রাপ্তি। এটাকে ধরে রাখা আমাদের বড় দায়িত্ব। অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।