তাসখন্দ, উজবেকিস্তান, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: তাজিকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত (তাসখন্দ, উজবেকিস্তানে আবাসিক) ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম শুক্রবার (১৫ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) আনুষ্ঠানিকভাবে তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপতি এমোমলি রাহমোনের নিকট রাষ্ট্রপতি ভবনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেন। এ সময় তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নিকট তাঁর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন। বাংলাদেশ ও তাজিকিস্তানের মধ্যে বিরাজমান সুযোগ ও সম্ভাবনাসমূহকে কার্যকরী ও ফলপ্রসূ করতে তিনি দ্বিপাক্ষিক মেকানিজমসমূহকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ প্রদানের ওপর জোর গুরুত্বারোপ করেন। জলবায়ু পরিবর্তনসহ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে বিশ্বের সকল দেশের সাথে একসাথে কাজ করার বিষয়ে তিনি তার সরকারের প্রত্যয় ও অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত ড. ইসলামকে অভিনন্দন জানিয়ে তাঁর কর্ম-কালীন সময়ে বাংলাদেশ-তাজিকিস্তান সম্পর্কে এক নতুন গতির সঞ্চার হবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন। তাজিকিস্তান রাষ্ট্রপতির নিকট পরিচয়পত্র পেশ করার পূর্বে রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম তাজিকিস্তানের শিল্প ও টেকনোলজি মন্ত্রী শের আলী কোবির এবং উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফারহোদ সেলিমের সাথে বৈঠক করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। উভয় বৈঠকে রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অর্জন ও সাফল্যের চিত্র তুলে ধরেন। বাংলাদেশ ও তাজিকিস্তানের মধ্যকার সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্য ও সম্প্রীতি এবং পারস্পরিক উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা ও পরিকল্পনার ওপর আলোকপাত করে রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সহযোগিতাকে আরো গতিশীল ও সম্প্রসারিত-করণের লক্ষ্যে তাজিকিস্তানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দকে উৎসাহিত করতে শিল্প ও টেকনোলজি মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। তারা উভয়ই বস্ত্র, ঔষধ, কৃষি ও পর্যটন খাতে সহযোগিতার অপার সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে তা যথাযথভাবে কাজে লাগানোর ব্যাপারে একমত পোষণ করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।