ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গবেষণা ছাড়া কোনো কিছুতেই উৎকর্ষ লাভ করা যায় না। যারা চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণায় জড়িত থাকবেন তাদের জন্য সরকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ দেবে। বিজ্ঞানকে বঙ্গবন্ধুই বেশি গুরুত্ব দিতেন। ৭৫’র পর স্বৈরশাসকরা গবেষণায় গুরুত্ব দেয়নি। জাতির পিতা স্বাধীন দেশে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার সময়ই পরমাণু শক্তি কমিশন এবং বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত পরমাণু শক্তি কমিশন মানুষের স্বাস্থ্য পরিচর্যায় অত্যাধুনিক নিউক্লিয়ার মেডিসিনের প্রচলন করে। ২২টি নিউক্লিয়ার মেডিসিন সেন্টার থেকে ক্যান্সার ও থাইরয়েড-জনিত রোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসা হচ্ছে। তিনি বেতবুনিয়া ভ’উপগ্রহ কেন্দ্রও স্থাপন করেন, যে পদাংক অনুসরণ করে আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (১১ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) সকালে তাঁর কার্যালয়ের শাপলা হলে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ এনএসটি ফেলোশিপ ও বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা একটা জায়গায় একটু পিছিয়ে আছি, সেটা হচ্ছে স্বাস্থ্য-বিষয়ক গবেষণায়। তিনি চিকিৎসকদের গবেষণায় মনোযোগী হবারও আহবান জানান। দেশের দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ-কেন্দ্রও পাবনার রূপপুরে করা হবে উল্লেখ করে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ-কেন্দ্রের কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয়টির কাজ যাতে শুরু করা যায় সেই ব্যাপারে এখন থেকেই তিনি প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। তিনি বলেন, আমরা রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছি। আরেকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চেষ্টা করেছিলাম দক্ষিণে। কিন্তু সেখানের মাটি এত নরম, প্রত্যেকটি দ্বীপে অনুসন্ধান চালিয়ে আমরা দেখেছি। আসলে সেখানে করা বোধ হয় সম্ভব নয়। তবে এখন যেখানে আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্র করেছি সেটার কাজ সম্পূর্ণ সমাপ্ত হবার পর দ্বিতীয়টাও আমরা এই পাবনাতে, এই রূপপুরেই করতে পারবো। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, এটার কাজ যখন শেষ হবে সাথে সাথে আমরা যেন দ্বিতীয়টার কাজ শুরু করতে পারি এখন থেকে আমাদের সে প্রস্তুতি নিতে হবে। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ আমরা উৎক্ষেপণ করেছি এবং স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণেরও আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ,’ ‘এনএসটি ফেলোশিপ’ ও ‘বিশেষ গবেষণা অনুদান’ প্রদান করেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান সভাপতিত্ব করেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ মালেক এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।