All Menu

অসাধু ব্যবসায়ী এবং চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে

মোঃ আতিকুর রহমান, প্রধান বার্তা সম্পাদক ও চেয়ারম্যান, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অসাধু ব্যবসায়ী এবং পাশাপাশি যারা চোরাকারবারি তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সামনে এখন রমজান মাস। এই রমজান মাসে এটা খুব দুর্ভাগ্যের বিষয়। কারণ, রমজানকে বলা হয় সংযমের মাস। কিন্তু আমরা দেখি এই সময় আমাদের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে তারা যেন সংযমতার পরিবর্তে আরো লোভী হয়ে পড়ে। যে নিত্য-পণ্যগুলো আমাদের বেশি প্রয়োজন সেইগুলোর মজুদদারি দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারসাজি তারা করে থাকে। বুধবার (৬ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) সকালে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এর ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে র‌্যাব সদর দপ্তর কুর্মিটোলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ঈদ সামনে আসলেই জাল মুদ্রার সরবরাহ বেড়ে যায়। সে সব বিষয়েও নজরদারি আরো বাড়াতে হবে। যদিও এসব বিষয়ে অভিযান চলছে, কাজেই সেই অভিযান আপনারা অব্যাহত রাখবেন। সেটাই আমাদের কাম্য।’ এছাড়া শুধু মাদক সেবনকারী নয়, মাদক ব্যবসায়ী ও সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। আর কোন কোন এলাকা থেকে মাদক আমাদের দেশে ঢোকে সেসব রুট চিহ্নিত করে তা বন্ধের ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ব্যাপারে অভিযান চলছে এবং এই বিষয়টি দিকে আমাদের আরো দৃষ্টি দিতে হবে। আর মাদক একটি পরিবার ও সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। বিশেষকরে যুব সমাজের মেধা ও কর্মশক্তি নষ্ট হচ্ছে এবং তারা বিপথে চলে যাচ্ছে। এই মাদক বিস্তার প্রতিরোধে র‌্যাব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে যা আরো বেশি কার্যকর করা প্রয়োজন।
আমাদের দেশে আরকটি সমস্যা দেখা যাচ্ছে কিশোর গ্যাং, কোভিড-১৯ মহামারির সময় এদের উত্থান ঘটেছে। শেখ হাসিনা বলেন, নারীর প্রতি-সহিংসতা, ধর্ষণ, নারী পাচার প্রভৃতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ নির্যাতিতা নারীদের পুনর্বসানেও  র‌্যাবের সক্রিয় ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী র‌্যাব সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘বাংলাদেশ আমার অহংকার’ এই মূল মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দিতে অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও এই বাহিনীর সদস্যরা আরও দায়িত্বশীল কার্যক্রম ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে-সেটাই আমরা আশাকরি। এদিন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং র‌্যাবের মহাপরিচালক এম. খুরশীদ হোসেন স্বাগত বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে র‌্যাব ফোর্সেস এর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী র‌্যাব সদর দপ্তরে পৌঁছলে র‌্যাবের একটি সুসজ্জিত চৌকস দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top