নয়াদিল্লি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখা প্রয়োজন এবং সে বিষয়ই সফরে প্রাধান্য পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দিল্লি সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ড. হাছান মাহমুদ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে এসে প্রথম দিন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের (Ajit Doval) সাথে বৈঠক করেন।
সরদার প্যাটেল ভবনে এ বৈঠক শেষে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর দাহস্থান ও স্মৃতিসৌধ চত্বরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। এ সময় সৌধ পরিদর্শন বইতেও স্বাক্ষর করেন মন্ত্রী। রাজঘাটে সাংবাদিকদেরকে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেও ভারতের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এই উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে আঞ্চলিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শান্তি যেটি বিরাজমান তা রক্ষা করতে হবে। সে লক্ষ্যেই আমরা আলোচনা করেছি। রোহিঙ্গা ইস্যুও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে পুনর্বাসন এবং মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়েও একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ দিন দিল্লীর হায়দ্রাবাদ হাউজে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকরের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন হাছান মাহ্মুদ। তিন দিনের সফরের বৃহস্পতি ও শুক্রবার বিবেকানন্দ ফাউন্ডেশনে বক্তৃতাদান এবং একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা রয়েছে মন্ত্রীর। মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকা থেকে দিল্লি পৌঁছুলে হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও উজবেকিস্তানে নবনিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত স্মিতা পান্ট (Smita Pant) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।