আশিষ চৌধুরী, বিশেষ প্রতিনিধি, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের আধুনিকায়ন ও ওয়াজেদ মিয়া পাঠাগার সমৃদ্ধকরণের প্রচেষ্টা চলমান। এই লাইব্রেরি সকলের জন্য উন্মুক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারগণ সার্বক্ষণিক পীরগঞ্জের সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। ঢাকা ও এর আশেপাশে বসবাসকারী পীরগঞ্জবাসী এবং পীরগঞ্জের সাধারণ মানুষকে বিপদে আপদে সর্বদা আমি সহযোগিতা করে আসছি। বৃহত্তর রংপুরের অবকাঠামো নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প একনেকের শেষ সভায় পাস হয়েছে, যা সকলের জন্য সুখবর। পীরগঞ্জের সাধারণ মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই ভবিষ্যতে সকল পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। স্পীকার রবিবার (১২ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকা ২৪ রংপুর-৬ এর অধীন পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন। পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: কামরুল হাসান জুয়েলের সভাপতিত্বে সভায় পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এটিএম মাহজহারুল আলম মিলন ও অন্যান্য বিশিষ্ট সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এরপর, স্পীকার পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত মহিলাদের মাসব্যাপী সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করে কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় স্পীকার বলেন, পীরগঞ্জের মহিলাদের মাসব্যাপী সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম খুবই যুগোপযোগী। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা অর্থনৈতিকভাবে অধিকতর স্বাবলম্বী হতে পারবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আরও করা হবে। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের একটি করে সেলাই মেশিন দেয়া হবে। এর মাধ্যমে বাড়িতে বসে সেলাইয়ের মাধ্যমে মহিলাদের উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এরপর, শানেরহাট দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশ ও আলোচনা সভায় স্পীকার প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। এসময় স্পীকার বলেন, শানেরহাট ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ আজ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। সকলের ঘরে ঘরে আজ বিদ্যুৎ। রোযার মাসে ইফতার ও সেহরির সময়, নামাযের সময়, সন্ধ্যায় ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার সময়, চায়ের দোকান, বাজার সকল জায়গায় আজ বিদ্যুৎ সুবিধা। বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্ব-কালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা নিশ্চিত করা আজ সম্ভব হয়েছে। সবাই সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় এসেছে। কাবিখার মাধ্যমে চাল-গম বরাদ্দ যার মূল্য ৮০লক্ষ ১০হাজার ৯৯৮টাকা, এর বিপরীতে শানেরহাটে ১১১টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ১কোটি ৩৬লক্ষ ৪হাজার টাকা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় শানেরহাটে ব্যয় করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আধুনিকায়নের পাশাপাশি যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। মো: আজিজুল ইসলাম রঞ্জুর সভাপতিত্বে সভায় মো: মিজানুর রহমান মন্টু ও অন্যান্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।