All Menu

বিএনপি অন্ধ হলেও জনগণ অন্ধ না

ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রতিদিনই বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে পর্যন্ত শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোঁয়া চলে যাচ্ছে। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, পাতালপথ, উড়াল সেতুর পাশাপাশি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, বিদ্যুতের ঘাটতি নাই, স্বাস্থ্যখাতে জেলায় জেলায় হাসপাতালের বেড দ্বিগুণের বেশি করা, প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ১০ বেডের অতিরিক্ত ডায়ালাইসিস বেড করা, আট বিভাগে আটটি ১৫০০ শয্যার ক্যান্সার কিডনি হাসপাতাল করা, এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কমিউনিটি ক্লিনিক করে সেখানে ৩০ রকমের ওষুধ বিনামূল্যে দেয়া থেকে শুরু করে করোনা মহামারি মোকাবিলা করে বিশ্বে ৫ম স্থান অর্জন করাসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অথচ এগুলোর কিছুই বিএনপি চোখে দেখে না। বিএনপি যে জ্বালাও পোড়াও করে, মানুষের জানমালের ক্ষতি করে ক্ষমতায় যেতে চায় দেশের মানুষ এখন তা বোঝে। তবে, তারা (বিএনপি জোট) অন্ধ হতে পারে কিন্তু দেশের জনগণ অন্ধ নয়। মঙ্গলবার (৭নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ) রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ডক্টর’স কোয়ার্টার্স সংলগ্ন নবনির্মিত স্টাফ কোয়ার্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বর্তমান সরকারকে ইস্পাতের মতো শক্ত উল্লেখ করে বলেন, বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার ইস্পাতের ন্যায় শক্ত ও মজবুত। রাস্তা অবরোধ করে বা জ্বালাও-পোড়াও এর মতো অপরাজনীতি করে এই ইস্পাত ন্যায় সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষমতা অন্তত বিএনপির নেই। দেশের সরকারি হাসপাতালে মানুষের প্রতিদিনের চিকিৎসা নিতে আসার আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হিসাব অনুযায়ী দেশের কেবল সরকারি হাসপাতালগুলোতেই মাসে গড়ে ৩৬ কোটি মানুষ সেবা নিচ্ছে। সরকারি হাসপাতালের প্রতি আস্থা না থাকলে, চিকিৎসা না পেলে মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসত না। সব হাসপাতালের বেড দ্বিগুণের বেশি করার পরও মানুষ জায়গা না পেয়ে ফ্লোরেও চিকিৎসা নিচ্ছে। গত পাঁচ বছরে ১৬ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ এর আগের বিগত ৪৫ বছরে চিকিৎসক ছিল মাত্র ১৫ হাজার। নার্স নেয়া হয়েছে ২০ হাজার, অন্যান্য পদেও হাজার হাজার লোক নেয়া হয়েছে। নতুন করে অনেক ইনস্টিটিউট, হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হয়েছে। এগুলো সবই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক মীর জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আখতারুজ্জামান, স্বাচিপ এর মহাসচিব অধ্যাপক কামরুল হাসান মিলন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) রাশিদা আকতারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top