ঢাকা, ব্রডকাস্টিং নিউজ কর্পোরেশন: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) বলেছেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ-স্মার্ট রাষ্ট্রে উন্নীতকরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং সুশাসন সংহতকরণে সদা সচেষ্ট। এজন্য একটি কার্যকর, দক্ষ এবং গতিশীল প্রশাসনিক ব্যবস্থা গঠনে সরকার কাজ করছে। বস্ত্র ও পাট সচিব মোঃ আব্দুর রউফ এর সাথে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণ আগামী ১ জুলাই ২০২৩ থেকে ৩০ জুন ২০২৪ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বুধবার এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দসহ দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি সম্পাদন সভায় মন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য দপ্তর ও সংস্থাসমূহে কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনা বাস্তবায়ন এবং এর মাধ্যমে সফলতার সাথে দ্রুতগতিতে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি), ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, ডেল্টাপ্লান এবং সময়ে সময়ে সরকার কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন।
মন্ত্রী আশা করেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) প্রত্যেককে কর্মমুখী সংস্কৃতির দিকে ধাবিত করবে। যার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত হতে সাহায্য করবে। এতে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া আরো বেগবান হবে। মন্ত্রী বস্ত্র ও পাট খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব দপ্তর ও সংস্থা প্রধানকে চাহিদাভিত্তিক ও যৌক্তিক প্রকল্প প্রণয়নের পরামর্শ দেন। এছাড়াও তিনি প্রত্যেককে তার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করে বস্ত্র, রেশম, তাঁত ও পাট শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।